পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৮১

রাখিবেন যে আপনারা রাজনীতিবিদ নন, আপনারা বিচারক। আপনারা যদি দেখিতে পান যে প্রচুর জনবল ও অর্থবল সহ একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান যুদ্ধ ঘোষণা করিবার মত একটি সুগঠিত শক্তিশালী বাহিনী সহ এই যুদ্ধ ঘোষণা করিয়াছিল। তাহা হইলে আপনারা নিশ্চয়ই এই বাহিনীর স্বপক্ষে রায় দিবেন। আপনাদের দেশেও যাহারা এই অবস্থায় অন্য লোককে হত্যা করিতেছে তাহাদের জন্য আপনারা যেরূপ গর্ব্ব অনুভব করেন ইহাদের জন্যও তেমনিই করিবেন।

 শ্রীযুত দেশাই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টের প্রধান বিচারপতি ফুলারের একটি রায়ের উল্লেখ করেন। মিঃ ফুলার বলিয়াছেন, “যদি কোন দেশে গৃহযুদ্ধ চলিতে থাকে, তাহা হইলে দুই পক্ষের মধ্যে কোন পক্ষ দোষী বা নির্দ্দোষী, কোন বিদেশী সরকার সে বিচার সাধারণতঃ করিতে যায় না। যদি সে পক্ষ তদানীন্তন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করিতে চায়, তাহারা সফলকাম হয় এবং তাহাদের কর্ত্তৃক স্থাপিত প্রতিষ্ঠান অনুমোদিত হয় তাহা প্রথম হইতে তাহাদের সমস্ত কার্য্যাবলী স্বীকৃত বলিয়া গ্রহণ করা হয়। আর যদি তাহার ব্যর্থও হয় তবুও এই গৃহযুদ্ধের ফলে তাহাদের কাহাকেও ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা যায় না।

 অতঃপর শ্রীযুত দেশাই ১৯৩৭ সালের আন্তর্জ্জাতিক আইন সম্পর্কে বৃটিশ ইয়ার বুকের কিছুটা অংশ উদ্ধৃত করেন। ঐ অংশে উল্লিখিত আছে, ‘যখন কোন দেশকে শত্রুদেশ বলিয়া ঘোষণা করা হয়, তখন সেই দেশের প্রতিষ্ঠিত গবর্ণমেণ্টকে স্বীকার করার প্রশ্ন হইতেও বড় প্রশ্ন হইতেছে যে সেই দেশ যুদ্ধে লিপ্ত।”

 এমন একটা সময় আসে যখন সেই দেশ নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করিতে পারে নাই। এস্থলে বলা যাইতে পারে এই বাহিনীই যদি তাহাদের উদ্দেশ্য সফল করিতে পারিত, তাহা হইলে আন্তর্জ্জাতিক আইন অনুসারে এই সার্থক বিদ্রোহকেই আইনানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত সরকার বলিয়া স্বীকৃত হইত। কিন্তু