পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৯৩

উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থাপিত করিতে হইবে। নরহত্যা সম্পর্কে সরকার পক্ষ কর্ততৃক যে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করা হইয়াছে তৎসম্পর্কে আদালত যদি সন্দিহান হন তাহা হইলে ইহা বলা যায় যে বর্ত্তমান মামলার আসামীগণও সেই অপরাধ সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশে নির্দ্দোষ বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে।

 ক্যাপ্টেন সেহগল যুদ্ধবন্দীরূপে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করিয়াছিলেন এবং কর্ণেল কিটসন সেই চুক্তি মানিয়া লইয়াছিলেন। উক্ত চুক্তি অনুসারে ক্যাপ্টেন সেহগলকে যুদ্ধবন্দী হিসাবে গণ্য করা উচিত এবং তাঁহাকে এখন মুক্তি প্রদান করা কর্ত্তব্য।

 রেঙ্গুন পুনরধিকৃত হইবার পূর্ব্বে সেখানে কি ঘটিয়াছিল তৎসম্পর্কে আসামী পক্ষের শেষ সাক্ষী ক্যাপ্টেন আর্শেদ আলী আদালতে চারিটি দলিলপত্র উপস্থিত করিয়াছিলেন এবং ঐ দলিলপত্র হইতে ইহা প্রমাণিত হইয়াছে যে রেঙ্গুনস্থ তৎকালীন বৃটিশ অফিসারগণ সশস্ত্র সৈন্যবাহিনীরূপে আজাদ-হিন্দ ফৌজের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া লইয়াছিলেন। উক্ত দলিলপত্র সমূহে ইহা পরিদৃষ্ট হয় যে, বৃটিশ অফিসারগণ আজাদ-হিন্দ-ফৌজের অফিসারগণের উল্লেখ করিতেছেন। এই দলিল পত্র হইতে ইহা প্রমাণিত হয় যে, আজাদ হিন্দ ফৌজ সশস্ত্র সৈন্য বাহিনীরূপে সংগঠিত হইয়াছিল।

 মিঃ দেশাই আদালতে আইন সম্পর্কে কয়েকটি বিষয়ের অবতারণা করিয়া বলেন যে, “সামরিক আদালত অসামরিক অপরাধ অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিচার করিতে পারে না। কিন্তু ফৌজদারী আইন বিধিতে ইহা বলা হইয়াছে যে ফৌজদারী অপরাধ সম্পর্কে ফৌজদারী আদালত বিচার করিতে পারিবেন। এই সম্পর্কে তিনি বলেন যে তাঁহার উক্তি দ্বারা তিনি ইহা বলিতে চাহেন না যে সামরিক আদালত ফৌজদারী অপরাধ সম্পর্কে বিচার করিতে পারেন। ফৌজদারী দণ্ডবিধি প্রসঙ্গে তিনি ইহাই বলিতে চাহেন যে যুদ্ধ পরিচালনা সম্পর্কে ফৌজদারী আদালত কাহাকেও অভিযুক্ত করিতে পারেন না এবং যদি