পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২১৫

বলী হইতে দেখা যায় যে ১৯৪৫ সালের ৩৯শে মার্চ্চ বা ঐরকম সময়ে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ, খাজিন শা ও আয়া সিং কর্ত্তৃক মহম্মদ হোসেন নামক একব্যক্তিকে হত্যাকার্য্যে সহায়তা করিয়াছিল।

 ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খান তাঁহার বিবৃতিতে বলিয়াছেন, “প্রকৃতপক্ষে আমি কোন মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেই নাই অথবা তাহাকে গুলী করিয়াও হত্যা করা হয় নাই। মিঃ মহম্মদ হোসেন এবং তাহার সঙ্গীদিগকে আমার সম্মুখে উপস্থিত করা হয়। আমি মহম্মদ হোসেনকে তীব্র ভর্ৎসনা করি এবং বলি যে, সে এমন একটা অপরাধ করিয়াছে তাহার জন্য তাহাকে গুলী করা উচিত। সাক্ষ্যের সারমর্ম্ম বিবৃতি করিয়া কর্ণেল কেরিন বলেন, “যদি মৃত্যুর প্রমাণ সম্বন্ধে আপনারা সন্তুষ্ট না হইয়া থাকেন, তবে দণ্ডবিধি আইনের ১০৯ ধারা অনুসারে আপনারা আসামীকে অপরাধী বলিয়া সাব্যস্ত করিতে পারেন না। কেননা ঐ ধারার নির্দ্দেশ আছে যে, যে অপরাধে সহায়তা করা হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করা হইয়াছে, উহা কার্য্যে পরিণত হইয়াছে বলিয়া প্রমাণ করিতে হইবে।

 অবশ্য আপনারা যদি এই বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে মহম্মদ হোসেনকে হত্যা করিতে খাজিন শা ও আয়া সিংকে শাহ নওয়াজ সাহায্য করিয়াছিলেন এবং আপনারা যদি মনে করেন যে এই ব্যক্তিই (শাহ নওয়াজ) সেই সাহায্যকারী বলিয়া নিঃসন্দেহ ভাবে প্রমাণিত হইয়াছে। তাহা হইলে দণ্ডবিধি আইনের ১১৫ ধারা অনুযায়ী তাহাকে দোষী বলিয়া আপনারা বিশেষ অভিযোগে সাব্যস্ত করিতে পারেন।

প্রথম সামরিক আদালতের রায়।

 ৩রা জানুয়ারী ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ, ক্যাপ্টেন সেহগল ও লেঃ ধীলনের সামরিক আদালতে বিচারের রায় সম্বন্ধে নিম্নলিখিত সরকারী বিজ্ঞপ্তি বাহির হয়।