পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ভারতের ন্যায় পরাধীন দেশ সম্পর্কে যতপ্রকারই বিবেচনা করা হউক না কেন, পরাধীন দেশের জনগণের মাতৃভূমিকে মুক্ত করিবার যে অধিকার আছে, সে সম্পর্কে আর কোন প্রশ্নই চলে না।

 স্বদেশের প্রতি আনুগত্য এবং রাজার প্রতি আনুগত্যের মধ্যে যখন সংঘর্ষ দেখা দেয়, তখন দেশের প্রতি আনুগত্যকেই প্রধান্য দেওয়া হয়। আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে উহা স্বীকৃত হইয়াছে। এই নীতি যদি পালিত না হয় তবে জানিতে হইবে যে, ন্যায় বিচারকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হইয়াছে।

অপরাধ প্রমাণিত হয় নাই

 ১৯৪২ সালের ২৪শে আগষ্ট তারিখের গুলিবর্ষেনের উল্লেখ করিয়া কৌঁসুলী বলেন যে, সরকার পক্ষের একজনের সাক্ষ্য ব্যতীত অপর কোন সাক্ষ্য প্রমাণাদির দ্বারাই একথা প্রমানিত হয় নাই যে, আসামীদের উভয়েই বা কোন একজন ঐ গুলিবর্ষণের নির্দ্দেশ দিয়াছিলেন। শত্রু পক্ষের সাড়ে চারশত লোক দ্বারা আক্রান্ত চইলে যে হট্টগোলের উদ্ভব হয়, সে অবস্থায় শিখ প্রহরীরাও আত্মরক্ষার্থ ঐ গুলি বর্ষণ করিতে পারে। ঐ অবস্থায় যদি কোন ক্ষতি হইয়া থাকে তাহার জন্য আলোচ্য আসামীদ্বয়কে দায়ী করা চলে না।

 অতঃপর কৌঁসুলী সরকার পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যের এক এক করিয়া সমালোচনা করিয়া বলেন যে, সাক্ষীরা তাহাদের সাক্ষ্যে ঘটনাকে যতদূর সম্ভব বিকৃত করিয়া বর্ণনা করিয়াছে। এই উদ্দেশ্যে তাহারা যে আগ্রহ প্রকাশ করিয়াছে, তাহার ফলে মামলার ঘটনা একেবারে অসম্ভব ঘটনায় পরিণত হইয়াছে।

 আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্য্যের জন্য এত নিন্দা করা হইতেছে কিন্তু জালিয়ান্‌ওয়ালাতে সেদিন যখন জেনারেল ওডায়ার নির্ব্বিচারে শিশু, যুবক ও বৃদ্ধকে হত্যা করিল, তাঁহার সেই কার্য্যের জন্যও কোন সামরিক আদালত বসে নাই। লাহোর