পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২২৯

দুইটি প্রশংসাপত্র পাইয়াছিলেন এবং আসামী ইতিপূর্ব্বে কখনও কোনও প্রকার দণ্ড ভোগ করেন নাই।

 দণ্ড বিধান সম্পর্কে এডভোকেট ব্যানার্জ্জি আদালতকে লক্ষ্য করিয়া বলেন আসামী আদালতের নিকট তাহার সম্ভাবিত চরম শাস্তির কথা জানিতে ইচ্ছুক। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা কামী ভারতবাসী অযৌক্তিক গুলীবর্ষণ কারীর দণ্ডাজ্ঞাই আদালতের নিকট দাবী করে। কিন্তু অতীতে এর চেয়েও জঘন্য অন্যায় কার্য্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই, এমন কি আসামীকে নির্দ্দোষ সাব্যস্ত করিবার জন্য নূতন আইন প্রবর্ত্তন করা হইয়াছে। উদাহরণ স্বরূপ জেনারেল ওডায়ারের কার্য্যকলাপ উল্লেখ করা যাইতে পারে।

 জমাদার পুরণ সিংকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

হাবিলদার যশোবন্ত সিং দণ্ডিত

 আজাদ হিন্দ ফৌজের হাবিলদার যশোবন্ত সিং ও ঝাড়ুদার নিম্বু ৬ষ্ঠ সামরিক আদালত কর্ত্তৃক তাহাদের বিরুদ্ধে আনীত যাবতীয় অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এবং দণ্ডিত হন। হাবিলদার যশোবন্ত সিংকে তিন বৎসর ও ঝাড়ুদার নিম্বুকে এক বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। উভয়কেই চাকুরী হইতে বরখাস্ত করা হয় এবং তাঁহাদের প্রাপ্য বেতন ও ভাতা বাজেয়াপ্ত করার নির্দ্দেশ দেওয়া হয়।

 ডেপুটি জঙ্গীলাট সামরিক আদালতের এই দণ্ডাদেশ অনুমোদন করেন।

জমাদার জামান খানের মুক্তিলাভ

 আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিক জমাদার জামান খানের সপ্তম সামরিক আদালতে বিচার হয়। জমাদার জামান খান, আদালতে এক বিবৃতি