পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

তদন্তের বিবরণ

 বৃটিশ ও ভারতীয় অফিসারদের লইয়া গঠিত দুইটি তদন্ত আদালত প্রত্যহ সৈনিকগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতেন। তাঁহারা প্রত্যহ প্রায় ৩০ জনকে প্রশ্নাদি করিতেন। ২৫০০ লোকের মধ্যে পরে ১৮০০ লোক বন্দীশিবিরে রাখা হয়।

 তদন্তকারীরা জানিতে চাহিতেন যে, এই সকল ভারতীয় সৈন্য স্বেচ্ছায় জার্ম্মানদের সাহায্য করিয়াছিল কিনা এবং তাহাদের বর্ত্তমান মনোভাব কি। উহাই বিশেষভাবে বিবেচ্য ছিল। যাহারা বলিত যে তাহারা জার্ম্মানদের সহিত যোগ দিয়া ঠিকই করিয়াছে এবং ইচ্ছা করিয়াই যোগ দিয়াছিল, তাহাদিগকে কৃষ্ণ বর্ণের ফিতা লাগাইয়া দেওয়া হইত এবং বেতন ও ভাতা বাজেয়াপ্ত করিয়া চাকুরী হইতে বরখাস্ত করিয়া দেওয়া হইত। যাহারা বলিত যে, তাহারা জার্ম্মানদের দ্বারা প্রভাবান্বিত হইয়া তাহাদের সহিত যোগ দিয়াছিল, তাহাদিগকে ধূসর রংএর ফিতা লাগান হইত। ইহাদিগকে বেতন দিয়া বিদায় করিয়া দেওয়া হইত যাহাতে নিজেদের গ্রামে যাইয়া বসবাস করিতে পারে কিংবা চাকুরী খুঁজিয়া লইতে পারে। যাহারা কোনকালে জার্ম্মানদের সাহায্য করিবার ইচ্ছা পোষণ করে নাই, তাহাদিকে শাদা ফিতা লাগান হইত এবং পুনরায় চাকুরীতে পাঠাইয়া দেওয়া হইত।

 বাহাদুরগড় বন্দীশিবিরে বন্দী সৈনিকদের উপর যে কী নিষ্ঠুর ব্যবস্থার করা হইয়াছে তাহার আরও কয়েক উদাহরণ দেওয়া হইল—

 ক্যাম্পের একজন বন্দীকে শাস্তিস্বরূপ শ্রমসাধ্য কাজ করিতে দেওয়া হয়। সে অসুস্থ ছিল বলিয়া ঐ কাজ করিতে অসমর্থ হয়। এই অবস্থার জনৈক সুবেদার মেজর সঙ্গীনের খোঁচা মারিবার আদেশ দেন। কিন্তু রুগ্ন ব্যক্তির উপর এইরূপ জুলুম করিতে গার্ডটি অসম্মত হয়। তখন সংবাদ পাইয়া বৃটিশ মেজর আসেন এবং পিঞ্জরাবদ্ধ ব্যক্তিদের অপমান করেন। অপমানিত বন্দীগণ