পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

যাওয়া হয়। এই স্থানে তাহাদের মাহিয়ানার খাতা, ব্যাজ, ঘড়ি, ফাউণ্টেনপেন নগদ টাকা এবং অন্যান্য জিনিষপত্র কাড়িয়া লওয়া হয়। এই স্থানে প্রায় এক সপ্তাহ অবস্থান করিবার পর সৈনিকদিগকে মাগুইয়ে লইয়া যাওয়া হয় এবং একটি উন্মুক্ত শিবিরে তাহাদিগকে রাখা হয়। এই শিবিরে তাহাদিগকে রৌদ্র ও বৃষ্টি হইতে রক্ষা করিবার মত কোন তাবু বা চালা ঘর ছিল না। প্রত্যহ সকাল ৭টা হইতে বৈকাল ৪টা পর্য্যন্ত বন্দীগণকে কাজ করিতে হইত। এই স্থানে যে খাবার দেওয়া হইত তাহা অত্যন্ত খারাপ। এইভাবে প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হইবার পর সৈনিকগণকে বিমানযোগে ভারতবর্ষে লইয়া আসা হয়।

 দুইমাস পরে তাহাদিগকে নীলগঞ্জ বন্দীশিবিরে লইয়া যাওয়া হয়। সকালে ৭টা হইতে বেলা ১১টা এবং বৈকাল ২টা হইতে ৫টা পর্য্যন্ত কাজ করিবার জন্য তাহাদিগকে বাহিরে লইয়া যাওয়া হইত। তাহাদের ১৩০০ লোককে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া তাবুর ভিতর রাখা হইত।

ভারতে প্রত্যাবর্ত্তনের সময় বন্দী সৈনিকদের উপর অত্যাচার

 আজাদ হিন্দ ফৌজের লে ৪১ জন সৈন্যকে টোকিওতে সৈনিক বৃত্তি শিক্ষার জন্য পাঠান হইয়াছিল। জাপান আত্মসমর্পণ করিলে আমেরিকানরা তাঁহাদিগকে জাপান হইতে ম্যানিলায় লইয়া যায়। ম্যানিলা হইতে তাহাদিগকে একটি বিমানবাহী জাহাজে করিয়া হংকংএ লইয়া যাওয়া হয়। এই জাহাজখানি ইংরাজদের ছিল, ইংরাজ গোলন্দাজরা বন্দীদের ক্যামেরা, ঘড়ি এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিষ ছিনাইয়া লয় এবং তাহাদিগকে গালিগালাজ করে। তাহাদিগকে জাহাজের একটা গুদাম ঘরে রাখা হইয়াছিল। ঘরটা এমনভাবে আবদ্ধ ছিল যে সে ঘর পশুদেরও বাসের অযোগ্য ছিল। দিনে একবার মাত্র ডেকে যাইয়া তাহারা এক ঘণ্টার জন্য বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করিতে