পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

একাধিকবার আদালত বন্ধ রাখিবার অধিকার দিয়াছে। কিন্তু উক্ত এ্যাক্ট আদালতকে আর একটি কর্ত্তব্যবোধও দিয়াছে। ফলে আদালত যদি আরম্ভ হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যদি আদালতে উপস্থিত করা হয়, তাহা হইলে আদালতের কাজ দিনের পর দিন চলিতে থাকিবে। এই ধারার উপর যে বিশেষ জোর দেওয়া হইয়াছে, তাহার কারণ সামরিক আদালত আদৌ অসামরিক আদালত নহে। ইহার কার্য্যকাল সমস্ত বৎসরব্যাপী নহে। অপর পক্ষে যাঁহাদের লইয়া সামরিক আদালত গঠিত তাঁহাদের বিচারকের কার্য্য ব্যতীতও অন্য কাজ করিতে হয়। এই কারণে সামরিক আদালতে বিচার স্থগিত রাখা সব সময় সম্ভব নয়। কর্ণেল ক্রিন বলেন, সুবিচারের জন্য বিচার কার্য্য দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। অপর পক্ষে এই বিচারে আসামী পক্ষের কৌঁসুলী বলিতেছেন যে, তিনি সাক্ষীদের সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষা করেন নাই। এই বিষয়ে অবশ্যই আসামী পক্ষে বহু কৌঁসুলী রহিয়াছে; তাঁহাদের নিকট আমি এইটুকু বলিব যে, সাক্ষীদের পরীক্ষায় তাঁহাদের নিকট সর্ব্বধিক পরিশ্রম আশা করা হইতেছে। আমার মনে হয় এই পরিস্থিতিতে আমি হয়ত বলিব যে, নিশ্চয়ই কিছুদিনের বিচার স্থগিত রাখা হইবে; কতদিনের রাখা হইবে তাহা আপনাদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিতেছে। এ্যাডভোকেট জেনারেল প্রস্তাব করিয়াছেন যে, সরাসরি বিচার স্থগিত না রাখিয়া উদ্বোধনী বক্তৃতা ও প্রথম সাক্ষীর জেরার পর আদালত স্থগিত রাখা হউক। এ্যাভোকেট জেনারেল আরও ইঙ্গিত করিয়াছেন যে, উক্ত ব্যবস্থার ফলে আসামীপক্ষের সুবিধা হইবে।

 এই সময় আদালতের কার্য্যকলাপ পাঁচ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকে। বিচারকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আত্মীয়গণ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আসনের নিকট ভিড় করেন। তাঁহারা দর্শকের আসনে বসিয়াছিলেন। সেহগলের