আদালতে অধিবেশনের প্রথম দিনে দর্শকদের মধ্যে শ্রীযুক্তা সরোজিনী নাইডু, মাষ্টার তারা সিংহ, স্যার ফ্রেডারিক জেমস এবং সর্দ্দার মঙ্গল সিংহ উপস্থিত ছিলেন।
আজাদ হিন্দ ফৌজের বিচার আরম্ভ হওয়ার পূর্ব্বে “আজাদ হিন্দ ফৌজের দেশপ্রেমিক লোকদিগকে বাঁচাও” এবং “দেশপ্রেমিকগণ বিশ্বাসঘাতক নহেন” বাক্য লিখিত প্ল্যাকার্ডসহ বহুসংখ্যক ব্যক্তি লালকেল্লার বাহিরে প্রধান রাস্তায় সমবেত হয়। তাহারা রাস্তা দিয়া সামরিক ও সরকারী মোটর গাড়ী চলিয়া যাইবার সময়ে জন্ম হিন্দ’ ধ্বনি করে।
আজাদ হিন্দ ফৌজের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের যুক্তি
এডভোকেট জেনারেল স্যার এন পি এঞ্জিনিয়ার আদালতে তাঁহার উদ্বোধন বক্তৃতায় আজাদ হিন্দ ফৌজের বিস্তৃত ইতিহাস বিবৃত করেন। সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স হইতে হস্তগত পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট, আজাদ হিন্দ ফৌজ যে সব যুদ্ধ করে তাহার রেকর্ড, অভিযুক্তদের দ্বারা প্রদত্ত আদেশনামা এবং ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খানের ডায়েরী হইতে কতক অংশ আদালতে পাঠ করা হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের উল্লেখ করিয়া স্যার নাসেরওয়ানজী অভিযুক্ত অফিসারত্রয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী বিবৃত করেন। ১৯১৪ সালের ২৪শে জানুয়ারী রাওলপিণ্ডিতে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খানের জন্ম হয়। তিনি দেরাদুনে ইণ্ডিয়ান মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষালাভ করেন এবং ১৯৩৬ সালে রেগুলার কমিশনপ্রাপ্ত হইয়া ১৯৩৭ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে চতুর্দশ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টে নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন পি কে সেহগল ১৯১৭ সালের জানুয়ারী মাসে হোসিয়ারপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও ইণ্ডিয়ান মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৪০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে দশম বালুচ রেজিমেণ্টে