পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

রেজিমেণ্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে। পেগুর হেড কোয়ার্টারে লইয়া যাওয়া হয়; তারপর কারাগারে।

 ক্যাপ্টেন সেগলের স্বাক্ষরযুক্ত বা হাতের লেখা-সহ দলিলপত্রের মধ্যে এইগুলি প্রধান—১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ক্যাপ্টেন সেহ্‌গল আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক শ্রীযুত সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি বিশেষ নির্দেশ সমস্ত ইউনিটগুলির নিকট প্রেরণ করেন। সমস্ত ইউনিটের অধিনায়কদের তাঁহাদের অধীনে সৈন্যদের কুচকাওয়াজের জন্য সমবেত করাইবার নির্দেশ দেন এবং আরাকান রণাঙ্গন সম্পর্কে সমস্ত সংবাদ সৈন্যদের জানাইতে বলেন।

 এই বিশেষ নির্দেশে বলা হয় যে, বহুদিন প্রতীক্ষার পর দিল্লী অভিযান আজ আরম্ভ হইয়াছে। দৃঢ় সংস্কল্প লইয়া এই অভিযান চালাইয়া যাইতে হইবে। আরাকান পর্বতে যে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উড্ডীন রহিয়াছে যতদিন না সেই পতাকা দিল্লীর লাট প্রাসাদে উত্তোলন করা যাইতেছে এবং যে পর্য্যন্ত আমরা সেই প্রাচীন দুর্গে বিজয় উৎসবে মত্ত হইতে না পারিতেছি—ততদিন পর্য্যন্ত এই অভিযান চলিবে—অবিরাম গতিতে। “দিল্লী চলো”—এই ধ্বনি তাঁহাদের গ্রহণ করিতে বলা হয়।

 ক্যাপ্টেন সেহ্‌গলের ডায়েরীর একদিনকার লেখায় প্রকাশ, পোপা পর্বত রক্ষার ভার তাঁহার উপর ছিল। ১৭ই ফেব্রুয়ারী তারিখে তিনি লিখিতেছেন যে, ক্যাপ্টেন ধীলনের রণাঙ্গন বরাবর শত্রুরা ইরাবতী নদী অতিক্রম করিয়াছে। ধীলনের বাহিনী প্রায় নিঃশেষিত হইয়া গিয়াছে। বিশৃঙ্খলা বা নৈরাশ্যের ভাব দেখা দিয়াছে। কর্ণেল আজিজ সুস্থ না হওয়া পর্য্যন্ত ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ সাময়িকভাবে তাঁহার বাহিনীর পরিচালনা ভার গ্রহণ করিতেছেন।

 ১লা মার্চ, ১৯৪৫-এর ডায়েরী; এইরূপ যুদ্ধক্ষেত্রে যাইতে অস্বীকার করায় এজন অফিসারকে প্রাণদণ্ড দিতে হইয়াছে। কি করুণ! মানুষের জীবন কিভাবে নষ্ট হইতেছে। ২রা মার্চ, ১৯৪৫ এখন পর্য্যন্ত এই অফিসার ফিরিয়া