পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ

অতঃপর এডভোকেট জেনারেল ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের বিরুদ্ধে খাজিন শা ও আয়া সিং নামক দুই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগ বিবৃত করেন। তিনি বলেন, বিদ্রোহিদের সঙ্গে মিশিয়া বিদ্রোহ করা কিম্বা শত্রুপক্ষে যোগদান করিয়া আক্রমণাত্মক কার্যে লিপ্ত হওয়ার অর্থই দেশদ্রোহী হওয়া। দেশদ্রোহিতায় কোন অধিকার জন্মে না কিম্বা পরবর্ত্তী অপরাধজনক কার্য্যকলাপের দায়িত্ব হইতেও উহা কোন লোককে রেহাই দেয় না। এমন কি কোন দেশদ্রোহীর আজ্ঞা পালন করিলেও, উহা দেশদ্রোহিতারই সামিল হয়।

 এইরূপ বলা হইয়াছে যে ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর আইন অনুসারে যে সকল কাজ করা হইয়াছে, উহার জন্য আইনগতভাবে আসমীদের কোন কৈফিৎ দেওয়ার প্রয়োজন নাই। কিন্তু এই আদালতে কিম্বা ভারতের কোন আদালতেই উক্ত আইন স্বীকৃত হইতে পারে না। উক্ত আইনের বলে ক্ষমতা গ্রহণ করা প্রথমাবধিই বে-আইনী হইয়াছে। উক্ত আইন অনুসারে গঠিত ট্রাইবুন্যালের বিচারে যাহারা অংশ গ্রহণ করিয়াছে, তাহারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের জন্য দণ্ডনীয়। ভারতীয় জাতীয় বাহিনী আইন অনুসারে প্রদত্ত সমস্ত আদেশ এবং উক্ত আইনের ফলে গঠিত ট্রাইব্যুনাল অনুমোদিত নহে বলিয়াই যাঁহারা এই আইন অনুসারে কাজ করিয়াছেন তাঁহারা রেহাই পাইতে পারেন না। অতঃপর সরকার পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ আরম্ভ হয়। মিলিটারী প্রসিকিউটর অভিযুক্ত ব্যক্তিত্রয়ের চাকুরীর রেকর্ড দাখিল করেন। স্যার এন পি ইঞ্জিনিয়ার সরকার পক্ষের প্রথম সাক্ষী লেঃ কর্ণেল নাগের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। সাক্ষী তাঁহার জবানবন্দীতে বলেন যে, ১৯২০ সালের আগষ্ট মাসে তিনি বেঙ্গল জুনিয়র সিভিল সার্ভিসে প্রবেশ করেন এবং ১৯৩৪।৩৫ সালে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত হন।