পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন। মুনা বিয়ে পৈতে মুখেভাতে চিরকাল শানাই বাজিয়ে এসেছে। তার অবর্ত্তমানে সদয়কে শানাইওয়ালা আনতে হয়েছে সদর হতে। সপরিবারে নিমন্ত্রণ রেখে কোনমতে বাড়ী এসে কেশব সপরিবারে মাদুরের বিছানায় এলিয়ে পড়ল। পেট ভরে খেলে যে মানুষের এরকম দম আটকে মরণব্দশা হয় এটা তারা জীবনে আজ টের পেল প্রথম। সন্ধ্যা পর্য্যন্ত তারা"এমনিভাবে অৰ্দ্ধচেতন অবস্থায় পড়ে রইল, যেন জ্ঞানহারা মাতালেরা ঘুমাচ্ছে। পথে একবার এবং বাড়ীতে কয়েকবার বমি, করায় শৈলর ঘুমটাই কেবল হল অনেকটা স্বাভাবিক। কেশবের পেটে যন্ত্রণা আরম্ভ হওয়ায় সে-ই কাছে বসে তার পেটে খালি হাত মালিশ করে দিতে লাগল। বাড়ীতে তেল ছিল না। পেটের ব্যথা কমতে রাত হয়ে গেল, কেশবের তখন মানসিকসংস্কারগুলি ব্যথায় টনটন করছে। কালাচাদি এল অনেক পরে, রাত্রি, তখন গভীর। পাড়ার খানিক তফাতে নির্জনে গাড়ী রেখে সে একজন লোক সঙ্গে করে এসেছে। শুধু এ পাড়া নয়, সমস্ত গ্রাম ঘুমে নিঝুম। কেবল কেশবের মনে হচ্ছিল অনেক দূরে সদয় ডাক্তারের বাড়ীতে যেন তখনো অস্পষ্ট সুরে শানাই বাজছে । কেশব কেঁদে বলল, “ও বাবা কালাচাদি ।” “আজ্ঞে ?” “এমনিভাবে মেয়েকে আমার কেমন করে যেতে দেব, আমার বিয়ের যুগ্য মেয়ে ?” “এই তো দোষ আপনাদের। আমাকে বিশ্বাস হয় না ? বলুন তবে কী করব। মালপত্র গাড়ীতে আছে। তিন বস্তা চাল-” 8.