পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাক নগেন্দ্রনাথ আর দূর সম্পৰ্কীয় পিতৃব্য নবীনবাবু তাকে মাঝে মাঝে দেখতে আসতেন। ছোট কাকার গায়ে এক বহুমূল্য সবুজ রংএর শাল ছিল আর তার জলজলে কাল” চোখের প্রশংসা সর্বত্র শোনা যেত। তার কথা আর বেশী কিছু জানতে পারলুম না। আমার পিতামহের শরীর শীঘ্রই ভেঙ্গে পড়ল। রোগের জ্বালায় বড়ই অশান্তি ছটফটানি হয়েছিল। ৬টার সময় উঠে গাড়ী করে বেড়িয়ে ফিরে এসে অল্প নিদ্রা যেতেন-তারপর আহার ; তঁর ভৃত্য হুলির তয়েরি। কারি-ভাত আর একটু কমলানোবুর জেলী, এইমাত্র আহার। পরিচ্ছদের মধ্যে একটি সুন্দর কাশ্মীরি শাল তঁর গায়ে থাকত। তাকে দেখবার জন্যে মহিলারা দলে দলে দরজার কাছে এসে দাড়িয়ে থাকতেন । Duchess of Cleveland প্রত্যহ তাকে (7CN5 - C\set-Duchess of Inverness (3S stag tig rif f(\te তিনি তাঁর অমায়িক সৌজন্যে সকলেরই চিত্ত আকর্ষণ করেছিলেন। এত পীড়ার প্রকোপেও তার ধৈর্য্যাচু্যতি হয়নি। কখনও কোন বিষয়ে ক্রটি জানিয়ে কারও প্রতি দোষারোপ করতেন না, সর্ব্বদাই সন্তুষ্টচিত্তে, হাসিমুখে থাকতেন। অতি অকর্ম্মা ভূত্যও তার অনুগ্রহ ও বদ্যান্যতা হ’তে বঞ্চিত ছিল না । স্বদেশী আচার ব্যবহারের তিনি অনুরক্ত ছিলেন । দেশীয় পরিচ্ছদ পরিধান করতেন । আলবোলার নল সর্বদাই তার হাতে থাকত, তার ভূত্য হুলি তামাক সেজে দিত। তার একটি \ Tortoise shell ) কঁাচকড়া মসলার ডিবে ছিল । গরম তার আদবে সহ হ’ত না, জানালা খুলে শুতেন। প্রত্যহ সকালে স্নান করতেন, আর বরফজল ভালবাসতেন। দিনরাত, তার সেবাশুশ্রষায় নিযুক্ত প্রিয়ভূত্য হুলি তার শোবার ঘরের বাহিরে শুয়ে থাকত। অনেক সময় তঁর বিছানার পাশে মাদুরের উপর বসে। তঁর পায়ে হাত বুলিয়ে দিত। র্তার শরীর ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ল, তিনি আপনার আসন্ন মৃত্যু আপনি বেশ বুঝতে পেরেছিলেন । কেমন আছেন কেহু জিজ্ঞাসা করলে মধুর গম্ভীরস্বরে বলতেন, “I am content” আমি শান্তিতে আছি। ক্রমে তার শরীর আরো অবসন্ন হ’তে লাগল-তাকে স্থানান্তরিত করা আবশ্যক হ’য়ে পড়ল । অবসর বুঝে সেই স্থান হ’তে জুলাই মাসের ২৭ তারিখে Dr. Martin তাকে সঙ্গে করে। লণ্ডনে নিয়ে যান এবং ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে ১লা আগষ্টে তিনি পরলোক গমন क८क्रक्र । * গণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমার লিখি৩ পত্র হইতে উদ্ধত । Worthing-25th August, 1864 দ্বারিকানাথ ঠাকুরের মৃত্যু st August, 1846.