পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমার ঘোষ ও শ্রীযুক্ত শিশিরকুমার ঘোষের সহিত পিতার যশোহরেই আলাপ হয় এবং তাহারাই ঋতুবর্ণনের প্রথমাৰ্দ্ধ তীহাদের স্মীথ যন্ত্রে ছাপাইয়া দেন। বঙ্গসাহিত্যের কথাই আমি প্রধানত লিখিতেছি, পিতার সহিত সেই সাহিত্যের সম্পর্কের কথাই প্রধানত বলিতেছি। কিন্তু আর একটা কথা পরিস্ফুট করিয়া না বলিলে, পিতার জীবনী নিতান্ত অসম্পূর্ণ হয়। পূর্ব্বেই বলিয়াছি, তাহার জীবনের সহিত রাজনৈতিক ঘটনার কথা বলিতে পারিব না, আর তঁহার বিচার নীতির ও বিচার দক্ষতার শম্যক পরিচয় দিতে পারিব না বলিয়া, আপাততঃ লিখিব না, কিন্তু এ সকল ছাড়া আরও দুই একটা কথা বলা আবশ্বক ; কেবল সাহিত্যের কথাই বলা প্রচুর নহে। উলা, বহরমপুর, যশোহর, মাক-সব্বিত্রই বহুতর ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের সহিত পিতার পরিচয় হয় ; এমন কি ঘনিষ্ঠতা ছিল । তিনি তঁহাদিগের সহিত, নানা বিষয়ে ঘোরতর তর্ক করিতেন, কোন বিষয়ে ইংরাজি মতটা কি তাহা তাহাদিগকে বুঝাইবার চেষ্টা করিতেন ; কিন্তু সর্ব্বদাই চেষ্টা থাকিত যে, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ যাহাতে লোভী, লালায়িত না থাকিয়া, বৈরাগ্যবলে পূব্বমত সমাজের উন্নত পদবীতে অধিরোহণ BDBBDS S HLLL0BSS BBBS LD DKDLDLL DDDBDBD BBDBD DDSDD DBSDB BBBDLDL তাহার সমধিক যত্ন ছিল । অনুস্বার, বিসর্গ দিয়া একটা সংস্কৃত শ্লোক আওড়াইলেই যে শাস্ত্র বলিয়া নত-মস্তকে গ্রহণ করিতে হইবে, এমনটা না হয় । বিচার হউক, বিস্ত গু হউক, কিন্তু যে যতটুকু শাস্ত্র মানিতে পার, শাস্ত্রে বিশ্বাস করিতে পার, সে ততটুকু মান, বিশ্বাস কর,-ইহাই তাহার মত ছিল । ‘কবুকায কাঠিন্য ভ্রম’ এই কথা লইয়া তিনি নৈয়ায়িকগণকে বিষম উপহাস করিতেন । বলিতে ন পদার্থ-বিদ্যা ওরূপে পরিচালনা করিতে নাই । কতকগুলি সুত্র আগে ধরিয়া লইয়া তাহার পর পদার্থের বিচার করা চলে না । সে বিপরীও বুদ্ধি। আগে পদার্থ বিশ্লেষণ করিতে হইবে। ভুরি ভুরি পরীক্ষার দ্বারা পরামর্শ জ্ঞান লাভ করিতে হইবে ; কোনটা ব্যাপক, কোনটা ব্যাপ্ত, তাহা বুঝিতে হইবে, তাহার পর সূত্র স্থির হইবে । ইহাই অস্বীক্ষণ এবং তা হাই প্রকৃত ন্যায়শাস্ত্র । নৈয়ায়িকগণ প্রকাশ, পন্থা অবলম্বন করেন না বলিয়া, তিনি মহাদুঃখ প্রকাশ করিতেন । এইজন্য অনেকদিন হইতে ইচ্ছা ছিল যে, একজন সৎ-বুদ্ধি ব্রাহ্মণ পণ্ডিত লইয়া চুচুড়াতে একটি চতুষ্পাঠী করেন। যশোহরে জগবন্ধু ভট্টাচার্য্যের সহিত তাহার আলাপ হয় । ভট্টাচার্য্য মহাশয় মহাপণ্ডিত না হইলেও, সদাচারী ও সৎ-বুদ্ধিশালী । কথা স্থির হইল যে, তিনি চুচুড়ায় আসিয়া চতুষ্পাঠী করিবেন। তিনি এ দেশে আসিলেনও বটে, কিন্তু শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের সাহায্যো তিনি আমাদের ওপারে গৰীফা গ্রামে চতুষ্পাঠী করিলেন ; সে চতুষ্পাঠী এখনও সেইখানে আছে।