পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুঝা যাইবে, যে, যে ধর্ম্মে ব্রাহ্মণদিগকে তাঁহাদেৱ পূর্ব্ব সামাজিক গৌরব দেয়, অথচ তাহাদের মানসিক প্রকৃতি সব গুণ-সম্পন্ন করে, সে ধর্ম্মে বিশ্বাস করিতে ব্রাহ্মণদের গৃঢ় প্রবৃত্তি আছে। k. বিগত দুই সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া ব্রাহ্মণের রাজ-শক্তির অধীন হুইয়া আছেন ; এই রাজশক্তির অত্যাচারের হস্ত হইতে বিজ্ঞানধর্ম্ম ব্রাহ্মণদিগকে উদ্ধার কৱিবে । ব্রাহ্মণোৱা রাজশক্তির অত্যাচারের নিকট দিন দিন অধিকতর নত হইয়া আছেন বটে, বি, স্তু তাহারা আপনাদিগকে আধ্যাত্মিকতায় অন্য জাতি অপেক্ষা অধিকতর উন্নত বলিয়া জানেন,- সে জ্ঞান তাহারা এক দিনের তরেও হারান নাই ; আর সকবতোভাবে সেই শ্রেষ্ঠতা পুনঃ সংস্থাপনের আশাও এক দিনের তরে ত্যাগ করেন নাই। আপনাদের গৌরব পুনঃ স্থাপনের জন্য ঐহিক বিষয়ের প্রভুত্ব ও বিত্তাদির বাসনা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা,-ব্রাহ্মণের পক্ষে আবশ্যক ; নিশ্চয়ই ব্রাহ্মণেরা তাহা করিবেন । র্যাহারা এতকাল ধরিয়া ধারাবাহিক ক্রমে মানব সমাজের সুশৃঙ্খলা রক্ষা করিয়াছেন, তাহারা আপনাদের ব্যক্তিগত মহত্ত্ব রক্ষার জন্য, এবং তঁহাদের সামাজিক কর্ত্তব্যসাধন জন্য, ঐরূপ পন্থা অবলম্বন করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হইবেন না । ধর্ম্মযাজক সম্প্রদায় পুনর্গঠনের সুবিধ। নবজীবন-প্রাপ্ত ব্রাহ্মণগণকে বিজ্ঞানধর্ম্ম প্রদান করে ; আর সবাবপ্রকার বৈদেশিক আধিপত্য হইতে স্বদেশ উদ্ধার করিবার যেআশা তাহারা এতদিন ধরিয়া পোষণ করিয়াছেন, সেই আশা ফলবর্তী করিবার সুযোগও বিজ্ঞান ধর্ম্মই র্তাহাদিগকে প্রদান করে,- সে সুযোগ আর কিছুতেই দেয় না। ইংরাজ জাতির নিকট কথোপকথন ভাবে আত্ম-বেদন জানাইয়া ইহারা বিনা রক্তপাতে ইংরাজের প্রভুত্ব হইতে আপনাদিগকে উন্মোচন করিবেন। ইংরাজের প্রভুত্ব যতই কেন কুহু কুহুকে ঢাকা ঘেরা থাকুক না, মুসলমানের রাজত্ব অপেক্ষা বাস্তবিক অধিকতর অসন্তোষের নিদানীভূত।--বিজ্ঞান-ধর্ম্ম ভারতে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যই এই যে, ব্রাহ্মণগণের মধ্যে র্যাহারা ঐ মতাবলম্বী হইবেন, তাহারা এতদ্বিারা সহজে যাজক সম্প্রদায়ের প্রকৃতি পরিবর্তন করিতে পরিবেন ।” বিজ্ঞান-ধর্ম্মের বলে, ব্রাহ্মণ জাতির পুনরুত্থানের কথা,-সহজেই মনে করা যাইতে পারে, কোমতের নিজ - প্রতিষ্ঠিত ধর্ম্মে গাঢ় অনুরাগের পরিচয় মাত্র। অথচ বিষয়বৈভব-বাসনা পরিত্যাগ করিতে পারিলেই, ব্রাহ্মণ জাতি আবার পূৱৰ গৌরব পুনঃ gY BBBDS g BDBDBD DBDDD DSL DS DDD DBBDB BDBYSS SBD BDDD DB প্রান্ত হইতে, কঠোর বৈজ্ঞানিক কোমাৎ ভারতের বিকৃত ইতিহাস পাঠ করিয়া যে কথাটি বুঝিতে পারিলেন, যাহাঁদের কথা, তাঙ্গারা শাস্ত্রের বিধিনিষেধ সহস্ৰ স্থানে স্পষ্ট দেখিয়াও সেই কথা বুঝিতে পারেন না,-ইহাই আশ্চর্ধ্যের বিষয়, ইহাই আক্ষেপের