পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমচন্দ্র বিস্কারত্ব ( যিনি আদি সমাজের ব্রাহ্ম ও তত্ত্ববোধিনীর সম্পাদক ছিলেন এবং আমার নিকট সর্বদা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের প্রশংসা ও উন্নতিশীল ব্রাহ্মদলের নিন্দা করিতেন )। তিনিই এই আকর্ষণের প্রধান কারণ ছিলেন। আমার মাতুল স্বৰ্গীয় EBBBD DDDDBDL DDDiBiB BDBB BBDu BB DS SDBBDL DD S DBDBYK হইতে পারে। সেই কারণে উন্নতিশীলদের কথাবার্তা কাজকর্ম যেন ভালো লাগিত না । বস্তুত উন্নতিশীল দলের সঙ্গে আমি অধিক সংস্রব রাখিতাম না । তবে পৌত্তলিকতা ও জাতিভেদ ত্যাগ করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছিলাম। কেশব সেনের উন্নতিশীল ব্রাহ্মসমাজ । ১৮৬৮ সালের প্রারম্ভ অবধি উন্নতিশীল ব্রাহ্মদলের সহিত যোগ কিঞ্চিৎ গাঢ়তার হয়। তাহা এই প্রকারে ঘটে। ঐ বৎসরের প্রারম্ভে শুনিলাম মাঘোৎসবের সময় উন্নতিশীল দল আপনাদের উপাসনা মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন করিবেন এবং তদুপলক্ষে নগরকীর্তন হইবে। এই সংবাদে আমার মাতুল • মহাশয় তাহার কাগজে ও কথাবার্তাতে ইহাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন, "এ নেড়ানোড়ী কাণ্ড কেন ?” তদ্ভিন্ন হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয়ও অনেক উপহাস বিদ্রুপ করিতে লাগিলেন। সর্বোপরি, আমি শাক্ত বংশের ছেলে, বৈষ্ণবদের কীর্তনের প্রতি পূর্বাবধি আতিশয় অশ্রদ্ধা ছিল। এমন কি, কোনো যাত্রা গান শুনিতে গিয়া যদি দেখিতাম খোল করতাল আসিল ও কীর্তন আরম্ভ হইল, অনেক সময। সে স্থান পরিত্যাগ করিতাম। আমি ভাবিলাম, উন্নতিশীল দল রাস্তাতে ঢলঢলি করিতে যাইতেছে। এই ভাবিয়া বিরক্ত চিত্তে ১১ই মাঘ সকালবেলা সে দলের দিকে না গিয়া আদি সমাজের উপাসনাতে গেলাম। উপাসনান্তে আদি সমাজের সিড়ি দিয়া নামিয়া আসিতেছি, এমন সময় কয়েকজন বাবু আসিতেছেন, তাহারা বলিতে বলিতে আসিতেছেন, “মহাশয়, দেখলেন না তো, কেশব শহর মাতিয়ে তুলেছেন।” নগরকীর্তনে হাস্যাম্পদ না হইয়া কৃতকার্য হইয়াছে, এই কথাটা বড় নূতন লাগিল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয়, সে কি রকম ?” তখন তাহারা আমার হন্তে নগর কীর্তনের কাগজ দিলেন। আমি সেই সিড়িতে দাড়াইয়া পড়িতে লাগিলাম। তাহাতে আছে-- তেরা আয় রে ভাই, এত দিনে দুঃখের নিশি হল অবসান, নগরে উঠিল ব্রহ্মনাম । द्मञौ नक्ष८* नञ उद्मि, যার আছে ভক্তি পাবে মুক্তি, নাহি জাত বিচার। ইত্যাদি। এই আহবান ধৰনি আমার প্রাণে বাজিল, আমার যেন মনে হইল, আমাকে У e 6.