পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনিতুম । আধ্যাত্মিক ভাবের আর যা কিছু দেখা যেত সে বিজয়া দশমীর বিসজ্জ’ন উপলক্ষে। বিজয়ার রাত্রে শাস্তিজল সিঞ্চন ও ছোট-বড় সকলের মধ্যে সম্ভাবে কোলাকুলি, এই অনুষ্ঠানটি বাস্তবিক হৃদয়গ্রাহী মনে হ’ত,-“মধুৱেণ সমাপয়েৎ' এই বাক্য যেন ঠিক ফলেছে। এই পৌত্তলিক উপাসনার মধ্য হ’তে আস্তে আস্তে অলক্ষিত ভাবে আমাদের পরিবারে অমূর্ত্তের উপাসনা প্রতিষ্ঠিত হ’ল । অল্প বয়স থেকেই মূর্ত্তিপূজার উপর আমার কেমন বিতৃষ্ণা ছিল--যাকে ইংরাজীতে বলে 'Iconoclast' আমি তাই ছিলুম-তার কারণ পৈতৃক সংস্কারই বল---আর যাই বল। এক সময়ে আমাদের বাড়ী সরস্বতী পুজা হ’ত। মনে আছে একবার সরস্বতীর প্রতিমা অৰ্চনায় গিয়েছি-শেষে ফিরে আসবার সময় আমার হাতে যে দক্ষিণার টাকা ছিল তাই দেবীর উপরে সজোরে নিক্ষেপ করে দে ছুটি ! তাতে দেবীর মুকুট ভেঙ্গে পড়ল। এই অপরাধে তখন কোন শাস্তি পেয়েছিলুম কি না মনে নাই, কিন্তু হাতে হাতে সাজা না পেয়ে থাকি তার ফলভোগ এখন বুঝতে পারছি। বঁাশীতে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। আমার বুদ্ধির "ভীষ্মকৃত ক্ষয়ে যাচ্ছে-স্মৃতিভ্রংশ হ’তে আরম্ভ হয়েছে। আমি যে আমার সার্বিসের সৰ্বোচ্চ শিখরে উঠতে পারিনি। সেও ঐ কারণে। সরস্বতী প্রসন্ন থাকলে হাইকোর্টের ‘আসন অধিকার করে পদত্যাগ করতে পারতুম-আমার ভাগ্যে আর তা হ’ল না ! 可了开门” ছেলেবেলায় আমাদের ব্যায়াম চৰ্চার অভাব ছিল না । ভোরে উঠে যোড়াসঁকো থেকে গড়ের মাঠ বাহনগর প্রভৃতি দূর দূর পাল্লা পদব্রজে বেড়িয়ে আসতুম। সেই vatizf3 Morning Walk-Viety Cityt: 591, Cricket, r3: cysti a সব ছিল। আমাদের বাড়ীতে একটা পুকুর ছিল, তাতে আমরা অনেক সময় সাতার দিতে যৌতুম। বাজী রেখে সাতার দেওয়া আমাদের এক রকম খেলা ছিল। আমরা তিন ভায়ে মিলে যৌতুম-কলার গাছ আমাদের ভেলা । সেই ভেলায় চড়ে মাঝখান পর্যন্ত গিয়ে দেখা যেত কে কাকে সিংহাসন-চু্যত করতে পারে । সেই কলার বাহন কেড়ে নেওয়া চাই-আরোহী সাধ্যমত চেষ্টা করছে আততায়ীকে হটিয়ে দিতে-চোখে জল ছিটিয়ে হােক আর যে কোন উপায়েই হােক তার আক্রমণ হ’তে আপনাকে রক্ষা করতে হবে।--বেলপূর্বক সেই কলাবাহন যে দখল করতে পারবে তারই জিৎ। এই রকমে সাঁতারে আমরা খুব পরিপক্ক হয়ে উঠেছিলুম। বাবামশায়ের সঙ্গে যখন बांबकथाँ-8