চিন্তাহীনতার জন্য আর্থিক ধ্বংসের মুখে চলিয়াছে। এখনও প্রতিকারের সময় আছে। কেহ যেন না ভাবেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিলাভের মোহ সম্বন্ধে আমি যাহা বলিলাম, তদ্দ্বারা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধেই প্রচার করিতেছি। বিশ্ববিদ্যালয় অল্পসংখ্যক মেধাবী ছাত্রদের জন্য। অবশিষ্ট সাধারণ ছাত্রেরা জীবনসংগ্রামে প্রস্তুত হইবার জন্য পূর্ব হইতেই তদনুরূপ শিক্ষালাভ করিবেন। যখন সত্যকার জীবনসংগ্রাম আরম্ভ হয় তখন উচ্চতর বিদ্যার গবেষণা করা অধিকাংশ সাধারণ ছাত্রের পক্ষে সময় ও শক্তির অপব্যয় মাত্র। আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা হইতে ইহা আমি বেশ বুঝিতে পারিয়াছি। বিপদসূচক সঙ্কেত সম্মুখেই দেখা যাইতেছে এবং যে সমস্ত ছাত্র ও অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি—বিশেষতঃ বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধির জন্য এখনও মোহাবিষ্ট, তাঁহাদের এ বিষয়ে ধীরভাবে চিন্তা করিয়া দেখা কর্তব্য, পূর্ব হইতে সাবধান হইলে, বিপদকে সহজে নিবারণ করা সম্ভব হইতে পারে।
পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/২৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ
২১১