পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিংশ পরিচ্ছেদ
২২৫

দক্ষতা দেখাইতে পারে। কিন্তু যাহাদের ব্যবসায় বুদ্ধি আছে এবং নানা বাধা বিঘ্নের সঙ‍গে সংগ্রাম করিয়া স্বীয় চেষ্টায় সাফল্য লাভ করিয়াছে, সেই শ্রেণীর লোকই কেবল কোন ব্যবসায় গড়িয়া তুলিতে পারে।

 বর্তমান চীন সম্বন্ধে একজন চিন্তাশীল ও দূরদর্শী ব্যক্তির মন্তব্য উদ্ধৃত করিয়া আমি অধ্যায়ের সূচনা করিয়াছি। আর একজন দূরদর্শী লেখকের সারগর্ভ মন্তব্য উদ্ধৃত করিয়া আমি এই অধ্যায় শেষ করিব।

 “একথা সত্য যে, চীন এখনও কৃষিপ্রধান দেশ, কিন্তু গত ত্রিশ বৎসরের মধ্যে চীনে বহ‍ু ব্যবসায় ও কলকারখানার কেন্দ্র গড়িয়া উঠিয়াছে এবং যেখানে ঐগুলি সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, সেখানেই দেখা গিয়াছে যে চীনা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা আধুনিক প্রয়োগ কৌশল আয়ত্ত করিয়া লইয়াছে। চীনারা পাশ্চাত্য শিল্পকৌশল প্রয়োগ করিতে পারে। তাহারা কারখানা, রেলপথ, ব্যবসায়ী সঙ্ঘ এবং সামরিক বিভাগ গড়িয়া তুলিতে পারে।” Scott Nearing: Whither China? P. 182.

 দেখা যাইতেছে, এই উভয় গ্রন্থকারেরই সুচিন্তিত অভিমত এই যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সহযোগিতা চাই। তাহারা এমন সমস্ত বিশেষজ্ঞদের নিযুক্ত করিবে, যাহারা পাশ্চাত্য শিল্প কৌশল কাজে লাগাইতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট বা শিল্প বিদ্যালয়ের ডিপ্লোমাধারীরা এই শ্রেণীর বিশেষজ্ঞ নহে।