সালের সরকারী রিপোর্টের হিসাব হইতে বিভিন্ন প্রদেশে শিক্ষার ব্যয় নিম্নে দেওয় হইল:—
প্রদেশ | সরকারী সাহায্য | ছাত্রবেতন |
মাদ্রাজ | ১,৭১,৩৮,৫৪৮ | ৮৪,৩২,৯৯১ |
বোম্বাই | ১,৮৪,৪৭,১৬৫ | ৬০,১৩,৯৬৯ |
বাংলা | ১,৩৩,৮২,৯৬২ | ১,৪৬,৩৬,১২৬ |
যুক্তপ্রদেশ | ১,৭২,২৮,৪৯০ | ৪২,১৪,৩৫৪ |
পাঞ্জাব | ১,১৮,৩৪,৩৬৪ | ৫২,৮৭,৪৪৪ |
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা বিভাগ, শিল্প ও কৃষি, এই পাঁচটা ‘জাতি গঠনমূলক’ বিভাগের হিসাব করিয়া আমরা নিম্নলিখিত তথ্যে উপনীত হইয়াছি। ইহা হইতে বাংলার আর্থিক দুর্দশা সহজেই উপলব্ধি করা যাইবে।
১৯২৮-২৯
জাতিগঠনমূলক কার্যের জন্য বাংলার জন প্রতি ব্যয়
প্রদেশ | মোট ব্যয় | জন প্রতি ব্যয় |
মাদ্রাজ | ৪.২৫ কোটী টাকা | ১.০০ টাকা |
বোম্বাই | ৩.০৭ কোটী টাকা” | ১.৫৯ টাকা” |
বাংলা | ২.৭৩ কোটী টাকা” | ০.৫৮ টাকা” |
যুক্তপ্রদেশ | ২.৯৮ কোটী টাকা” | ০.৬৫ টাকা” |
পাঞ্জাব | ২.৯০ কোটী টাকা” | ১.৪০ টাকা” |
বিহার-উড়িষ্যা | ১.৪৭ কোটী টাকা” | ০.৪২ টাকা” |
মধ্যপ্রদেশ | ১.০৮ কোটী টাকা” | ০.৭৭ টাকা” |
আসাম | ০.৫৮ কোটী টাকা” | ০.৭৬ টাকা” |
মোটামটি বলা যায়, পাঞ্জাব ও বোম্বাই বাংলার চেয়ে জন প্রতি শতকরা ১৬৬ ও ১৩৩ টাকা ব্যয় করে, মাদ্রাজ শতকরা ৬৬ টাকা এবং আসাম শতকরা ২৫ টাকা বাংলার চেয়ে বেশী ব্যয় করে। একমাত্র বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ জাতিগঠনমূলক কার্যে জন প্রতি বাংলার চেয়ে কম ব্যয় করে।[১]
ইহা অকাট্যরূপে প্রমাণিত হইয়াছে যে, মেষ্টনী ব্যবস্থা আইন দ্বারা সমর্থিত লুণ্ঠন মাত্র এবং ঘোর অবিচার মূলক। সমস্ত পাট রপ্তানী শুল্কের টাকাই বাংলার পাওয়া উচিত। শ্রীযুত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগীর মতে, ১৯২৭ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ভারত গবর্ণমেণ্ট এই শুল্ক বাবদ মোট ৩৪ কোটী টাকা হস্তগত করিয়াছেন; আর বাংলার জাতিগঠনমূলক বিভাগ গুলি শোচনীয় অভাব সহ্য করিতেছে!
বাংলার আর্থিক অবস্থার মূলে আর একটি গলদ রহিয়াছে; অন্যান্য অনেক প্রদেশে সেচ বিভাগের উন্নতির জন্য যথেষ্ট মূলধন ন্যস্ত করা এবং তাহা হইতে প্রচুর আয়ও
- ↑ পূর্বে যে হিসাব দেওয়া হইয়াছে তাহা হইতে দেখা যাইবে যে, শিক্ষা ব্যাপারে গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে বাংলা পাঞ্জাবের চেয়ে সামান্য কিছু বেশী সাহায্য পায়, যদিও পাঞ্জাবের লোকসংখ্যা বাংলার অর্দ্ধেক। অন্যান্য তিনটি প্রধান প্রদেশ হইতে বাংলা কম সাহায্য পাইয়া থাকে। এক মাত্র বাংলাই, সরকারী সাহায্যের চেয়ে বেশী টাকা ছাত্রবেতন হইতে যোগাইয়া থাকে। ইহাও লক্ষ্য করিবার বিষয়।