পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সাধারণতঃ, যে সকল ছাত্র তাহাদের পরিবারের মধ্যে সবাপেক্ষা মেধাবী হইত এবং বাহাদের উপর পরিবারবগের যথেষ্ট আসথা ছিল, চৌদ্দ বৎসর বয়সে সেই ছাত্রগণ এডিনবাগ", গ্লাসগো প্রভূতি সহরে প্রেরিত হইত। বাড়ী হইতে বাহির হইলে পথে অথবা গন্তব্য সহরে তাহাদের দেখাশনা করিবার কেহ থাকিত না। যানের ভাড়া দিতে পারিত না বলিয়া তাহারা বাড়ী হইতে পারে হটিয়া আসিত। কলেজে নিজেরাই নাম ভতি করাইত। নিজেরা বাসা ঠিক করিত এবং স্বভাবচরিত্রের জন্য কেবলমাত্র নিজেদের উপরেই নিভীর করিত। গ্রামের বাড়ী হইতে মাঝে মাঝে লোক আসিয়া ওট মিল (ছাতু), আল, লবণান্ত মাখন প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য দিয়া বাইত। কখন কখন কিছ ডিমও দিত। তাহদের মিতব্যয়িতার গণে অন্য কোন খাদ্য আর তাহাদের দরকার হইত না। যাহারা খাদ্যদ্রব্য আনিত তাহাদের সঙ্গেই ময়লা পোষাক বাড়ীতে মায়েদের নিকট ধোওয়া ও মেরামতাঁর জন্য পাঠাইত। বিষাক্ত আমোদ হাত হইতে দারিদ্র্যই তাহাদিগকে রক্ষা করিত। নিজেদের মধ্যে তাহারা বন্ধত্ব করিত, পানভোজন ও ভাববিনিময় করিত। কথাবাতা ও আলোচনার জন্য তাহাদের নিজেদের ক্লাবও থাকিত। “টারম" শেষ বা কলেজ বন্ধ হইলে তাহারা দল বধিয়া পদব্রজে বাড়ী যাইত, প্রত্যেক জেলারই ২। ৪ জন ছাত্র সেই দলে থাকিত। এই সব বিশ্বཧྥུ་ཏྲ་ལ། “ཆག ཨཱཤ་ཥ་ ts” ༡༩༥ ཐ་ཅ་ཨ༢ ཨ་ཙལ། ཞལ། ཨ་ཨཱཿ ཨ་ཙ་ར་ཀ་༢ ཨ་ཨ༢ না | - “বাবলম্বনের শিক্ষা হিসাবে, এমন উৎকৃষ্ট শিক্ষালাভের ব্যবস্থা ব্রিটিশ বীপপুঞ্জে zITH THI Hits HII" (Froude's Life of Carlyle). তাহার পরে কয়েকবার আমি এডিনবাগ ও অন্যান্য কচ সহরে গিয়াছি। কিন্তু সহরের জীবন সম্পণে পরিবতিত হইয়া গিয়াছে। হাইল্যান্ড এখন আর শান্তিপণ নিজন সথান নহে। ঔপন্যাসিক সকটের মনোমুগ্ধকর বর্ণনা, বিচিত্র পাবত্য দশ্য, রেলওয়ে, মোটরবাস—এই সকলের ফলে দলে দলে ভ্রমণকারীরা এখন হাইল্যান্ডে যায়, তাহাদের মধ্যে কোটিপতি আমেরিকাবাসীরাও থাকে। তাহারা প্রত্যেক সিজনের জন্য বাড়ীভাড়াও করে। স্কচেরা কিন্তু পথিবীর মধ্যে সবাপেক্ষা সাহসিক ও পরিশ্রমী জাতি। পাটের কল, পাটের ব্যবসা ডাণ্ডিসহরের একচেটিয়া; হুগলী নদীর উপরে প্রায় ৭০। ৮০টী পাটের কল আছে, তাহার অধিকাংশ সচতুর সকচদের দ্বারাই পরিচালিত। গ্লাসগো লন্ডনের পরেই গণনীয় সহর। গত ৫০ বৎসরে স্কটল্যান্ডের ঐশ্বষ প্রভূত পরিমাণে বধি পাইয়াছে। এডিনবাগ সহরেরও দ্রুত পরিবতন হইয়াছে। এডিনবাগ ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্র নহে; কিন্তু প্রচুর পেন্সনভোগী অবসরপ্রাপ্ত অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এবং বিদেশে প্রভূত ধনসম্ময়কারী ব্যবসায়ী প্রভৃতি এডিনবাগে বাস করাই পছন্দ করেন। এডিনবাগ সহরের চারিদিকে সন্দের বাসভবন গড়িয়া উঠিতেছে—নতন সহর দ্রুত বিস্তৃত হইতেছে। অধিবাসীদের সরল মিতব্যয়ী জীবন অদশ্য হইয়াছে এবং বর্তমান যুগের বিলাসপাশ জীবনযাপন প্রণালী গ্রহণ করিতে তাহারা পশ্চাৎপদ হইতেছে না। *কটল্যান্ডের জাতীয় কবি বান’স বিলাসিতার যে তাঁর নিন্দা করিয়াছিলেন, তাহা তাহারা ভুলিয়া গিয়াছে। - * শীতের সেসনের প্রথমেই আমি ভতি হইলাম এবং প্রাথমিক বি,এস-সি, পরীক্ষার জন্য প্রসারনশাস্য, পদার্থবিদ্যা এবং প্রাণিবিদ্যা অধ্যয়ন করিতে লাগিলাম। গ্রীষ্ম সেসনের জন্য উদ্ভিদবিদ্যা রহিল, কেন না শরৎকালে ঐ দেশে গাছপালার পরপপ সব করিয়া পড়ে। "তকালে গাছগলি একেবারে পরশন্য হয় এবং তাহদের কাণ্ড ও শাখাপ্রশাখা অনেক পর হুবারাচ্ছন্ন থাকে। অ্যাপক টেইট পদার্থবিদ্যার মল সত্র চমৎকার ককাইতেন।