পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাইয়া প্রতিকারের ব্যবস্থা করিবার জন্য তাঁহাকে অনুরোধ করিত। লণ্ডন “টাইমস" আতঙ্কগ্রস্ত হইয়া উঠিতেন, ভারতসচিবকে ভীতি প্রদর্শন করিতেন। আধুনিক কালের এলা কমিশনের" ব্যাপার অনুধাবন করিলেই কথাটা বাবা যাইবে। যাহোক, এখন আমি శా శా శా శాaశా శా శా కాగా శా శాశి | আমি ১৮৮১ সালে সেসনের প্রথমে কাজে যোগদান করি। আমার পক্ষে সতাই এ আনন্দের কথা। লেবরেটরীতে গবেষণার কাজই আমার জীবনের প্রধান অবলম্বন এবং ইহার জন্য সাগ্রহ প্রতীক্ষা করিতেছিলাম। রসায়ন বিভাগ তখন একটী একতলা দালানে ছিল। ১৮৭২ সালে বর্তমানের নতন বাড়ীতে উঠিয়া যাইবার পবে হেয়ার স্কুল ঐ একতলা বাড়ীতে ছিল। রসায়ন বিভাগের বর্তমান বাড়ীতে যে স্থান, তাহার তুলনায় অতি সামান্য স্থানই পরাতন একতলা বাড়ীতে ছিল। এই বিজ্ঞান শাস্ত্র কতটা উন্নতি করিয়াছে, উপরোন্ত ঘটনা হইতে তাহাও অনমান করা যাইতে পারে। (৩) একটা অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, ১৮৭০ সালে প্রথম যখন আমি হেয়ার স্কুলে প্রবেশ করি, তখন যে সখানে বেঞ্চের উপর বসতাম, এখন আমার নিজের বসিবার ঘরে চেয়ারখানা ঠিক সেই স্থানেই পাতা হইয়াছিল। যাহারা রসায়নশাস্ত্র প্রথম শিখিতেছে, এমন সব ছাত্রের শিক্ষকতায় সাফল্যলাভ করিতে হইলে, এক্সপেরিমেন্ট' বা পরীক্ষার কাজে নৈপুণ্য চাই। এমনভাবে এক্সপেরিমেন্ট সাজাইতে হইবে যে তাহা একদিকে যেমন চিত্তাকর্ষক হইবে, অন্যদিকে বিষয়টিও সহজে বাঝা যাইবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতিত্ব বিবেচনা করিয়া অনেক সময় অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়। কোন পদপ্রাথী হয়ত গবেষণায় প্রশংসনীয় কাজ করিয়াছেন। কিন্তু এই সব ব্যক্তি অধ্যাপকের কাজে সকল সময়ে সাফল্যলাভ করিতে পারেন নাই। ইহার অনেক দন্টাত আমি দেখিয়াছি। রসায়নের লেকচারারের পক্ষে সহকারীরপে কিছুদিন শিক্ষানবিশী করা অত্যাবশ্যক। যাঁহারা এটনি বা উকীল হইতে চান, তাঁহাদিগকে বিশববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া কোন এটনির কাষে বা প্রবীণ উকীলের নিকটে কিছুকাল শিক্ষানবিশী করিতে হয়। তারপর স্বাধীনভাবে ব্যবসা করিতে পারেন। কোন “থিসিস” বা গবেষণামলেক প্রবন্ধ লিখিয়া যাহারা বিজ্ঞানে মাস্টার বা "ডক্টর" উপাধি লাভ করেন, তাঁহাদিগকে যদি অকস্মাৎ ছাত্রদের অধ্যাপনা করিতে হয়, তবে তাঁহারা হয়ত মস্কিলে পড়িবেন। লেবরেটরিতে অতি সাধারণ পরীক্ষা কায্যেও তাঁহাদিগকে ইতস্ততঃ করিতে হয়। একটা সঙ্কোচের ভাব আসে, ফলে তাঁহারা ঐ সব পরীক্ষা বাদ দিয়াই যান এবং কেবলমাত্র যন্ত্রটি দেখাইয়া অথবা তদভাবে বোডের উপর চিত্র অকিয়াই তাঁহাদের কতব্য শেষ করেন। আমার সৌভাগ্যক্রমে প্রেসিডেন্সি কলেজের রসায়ন বিভাগে পর্ব হইতেই একটা বনিয়াদ গড়িয়া উঠিয়াছিল। পেডলার বাষ্প (গ্যাস) বিশ্লেষণে বিশারদ ছিলেন এবং পরীক্ষা কাষে তাঁহার অসীম দক্ষতা ছিল। তাঁহার হাতের নৈপুণ্যও আমাদের সকলের প্রশংসার বিষয় ছিল। দই একজন সহকারীকে তিনি বেশ শিক্ষিত করিয়া তুলিয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে চন্দ্রভূষণ ভাদড়ীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি শিক্ষানবীশরীপে প্রথমে কাজ আরম্ভ করেন। অধ্যাপনায় সাফল্যলাভেই আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল, সতরাং সেজন্য মিথ্যা গব আমি ত্যাগ করিলাম। বিলাত ফেরত গ্রাজয়েটদের (9) Fifty years of Chemistry at the Presidency College, “Presidency llege Magazine” vol. I., 1914, p. 106.