পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দধ হইতে যে মাখন হয় তাহার স্নেহ উপাদান ব্রিটিশ গরর দধের মাখনের চেয়ে একটা স্বতন্ত্র রকমের। সেই কারণে ইংরাজী খাদ্য সম্বন্ধীয় গ্রন্থে ঐ দেশের মাখনের যে বিশ্লেষণাদির পরিচয় থাকে, তাহা আমাদের পক্ষে নির্ভরযোগ্য নহে। কয়েক প্রকারের তেলের নমনাও বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করিলাম। এই কাজ হাতে লইয়া আমাকে প্রভূত পরিশ্রম করিতে হইল। আমি তিন বৎসর পর্যন্ত এই কাযে ব্যাপত ছিলাম এবং আমার গবেষণার ফলাফল “জানাল অব দি এসিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল” পত্রিকায় (১৮৯৪), 4কয়েক প্রকার ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যের রাসায়নিক পরীক্ষা-প্রথম ভাগ,—চবি ও তেল" এই নামে প্রকাশিত হইয়াছিল। * সমাজ সেবা কাষেও আমার বেশ উৎসাহ ছিল। সাধারণ ব্রাহম সমাজের সদস্য হিসাবে আমি উহার সব কাজে আন্তরিকতার সঙ্গে যোগ দিয়াছিলাম। “ব্রাহমবন্ধ সভা” ও তাহার “সান্ধ্যসম্মিলনী” গঠন করিবার ভার আমার উপরেই পড়িয়াছিল, ইহার উদ্দেশ্য ছিল ব্রাহয়সমাজের সদস্যগণকে একত্রিত করা। সাধারণ ব্রাহাসমাজ সম্পণে গণতান্ত্রিক ভাবের উপর 2ífsfờG ggr §ETKĘ “commonwealth of church of God” zĮSTI IŠKE » Tg ভগবানের এই মন্দিরে সকলেরই সমান অধিকার। আমি রাহমসমাজের কায নিবাহক সমিতির (Executive Committee) একজন সদস্য নিবাচিত হইলাম এবং কয়েক বৎসর সেই পদে কাজ করিলাম। ১৮৯১ খৃস্টাব্দে সেসনের প্রথমে আমি পনবার সেই পরাতন অনিদ্রারোগে আক্রান্ত হইলাম এবং ক্রমাগত তিন মাস ভুগিলাম। শান্তিদায়িনী নিদ্রা আমার চক্ষকে পরিত্যাগ করিল এবং রাত্রির পর রাত্রি জাগ্রত অবস্থায় শয্যায় এপাশ ওপাশ করিয়া আমি অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করিতে লাগিলাম। দরে গিজার ঘণ্টা বাজিত—আমি গণিতাম। কালাইল এবং হাবটি স্পেনসারের মত দাশনিকরাও অনিদ্রারোগে ভুগিয়াছেন, একথা মনে করিয়া আমি সাম্মনা পাইলাম না; এবং তাহাতে আমার যন্ত্রণাও কমিল না। কলিকাতার রাস্তার ফটপাতে যে দিন-মজর গভীর নিদ্রায় অভিভূত হইয়া রাত্রি কাটায় তাহার সৌভাগ্যকে আমি ঈষা করিতে লাগিলাম। এক রাত্রি সনিদ্রার পর প্রভাতে জাগরণ—আমার নিকট সে কি দলভ বিলাস বলিয়া মনে হইত। অমর কবি সেক্সপীয়রের সেই চিরস্মরণীয় পংকিগুলির মম আমি উপলব্ধি করিতে পারিলাম— “How many thousands of my poorest subjects Are at this hour asleep! O sleep, O gentle sleep 事 尊 尊 尊 Uneasy lies the head that wears a Crown.” আমার ব্যাধি অবশ্য রাজমুকুটের জন্য নহে, অজাঁণের দরুণ! অক্টোবর মাসে পঙ্গার ইন্টার সময় আমি দেওঘরে হাওয়া বদলাইতে গেলাম। কলিকাতার অপেক্ষাকৃত নিকটে ঐ খান স্বাস্থ্যকর বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। ১৮১১ সালে বেশি লোক ছটা কাটাইবার জন্য সেখানে যাইত না। বাসগহের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। ষে ২। ৪ খানি ছিল, তাহাও খুব দরে দরে অবস্থিত ছিল। খোলা জায়গা যথেষ্ট ছিল। আমার জনৈক বন্ধ আমার

  • এখন খাদিপ্রতিষ্ঠানে এই সকল খাঁটি দ্রব্য সরবরাহ করিবার ভার লওয়া হইয়াছে।