পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিন্দনীয় বিবেচিত হইতে পারে, কিন্তু তব ইহা ক্ষমার যোগ্য। এই সমস্ত ফাম বিপলে অথ ব্যয় ও বহন বৎসর ধরিয়া অক্লান্ত পরিশ্রম করিয়া তবে হয়ত এমন কোন প্রণালী আবিস্কার করে, যাহার বলে তাহারা প্রতিযোগিতায় সাফল্যলাভ করিতে পারে। সুতরাং আমি ঐ সকল যাহা দেখিয়াছিলাম তাহা কোন কাজে লাগিল না। ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে রাসায়নিক কারখানাগলি খুব বড় আকারে চালানো হয়। উহার আনষেঙ্গিক অন্যান্য শিল্প থাকে এবং তাহাদের পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ বতমান। আমি পাঠ্যগ্রন্থে পড়িয়াছিলাম যে সালফিউরিক অ্যাসিড, অন্যান্য সমস্ত শিল্পের মল বরাপ। সেস্ট রোলক্স (গ্লাসগোতে) টেনাণ্ট এণ্ড কোম্পানির বিরাট সালফিউরিক অ্যাসিডের কারখানা দেখিয়া আমি ঐ কথা বেশ বঝিতে পারিলাম। আমি যখন এই কাজে প্রথম প্রবত্ত হই, তখন আমার পশ্চাতে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। আমার পথপ্রদশকও কেহ ছিল না। তাহার পর শতাব্দীর এক তৃতীয়াংশ অতীত হইয়াছে। আমদানি রপ্তানির কাজ আশ্চর্যরপে বন্ধি পাইয়াছে—কিন্তু এই সময়ের মধ্যে - রাসায়নিক শিল্পে বাংলায় খুব কম উন্নতিই হইয়াছে! আমি সালফেট অব আয়রন (হাঁরাকস) লইয়া কাজ আরম্ভ করিলাম। কলিকাতার বাজারে ইহার চাহিদা ছিল। কুচা লোঁহ (Scrap Iron) প্রচুর পরিমাণে প্রায় বিনামল্যে পাওয়া যাইত এবং আমি সালফিউরিক অ্যাসিড সম্বন্ধে সন্ধান করিলাম। কলিকাতায় কলেজে পড়িবার সময় পরীক্ষা কাষের জন্য আমি স্থানীয় জনৈক ঔষধ-ব্যবসায়ীর নিকট সালফিউরিক অ্যাসিড সংগ্রহ করিতাম। আমি তখন তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিয়াছিলাম যে, বিদেশ হইতে সালফিউরিক অ্যাসিড আমদানী করিতে হয় না, কেন না কাশীপরের ডি ওয়ালডি এন্ড কোং প্রচুর পরিমাণে সালফিউরিক অ্যাসিড প্রস্তুত করিতে আরম্ভ করিয়াছে। এখন অনুসন্ধান করিয়া আমি জানিতে পারিলাম যে, ডি ওয়ালডির কারখানা ব্যতীত কলিকাতার আশে পাশে আরও ৩৪টী কারখানায় সালফিউরিক অ্যাসিড তৈয়ারী হয়। এই সব কারখানার মালিক কাতিকচন্দ্র সিংহ, মাধবচন্দ্র দত্ত প্রভৃতি। ইউরোপ ও আমেরিকায় সালফিউরিক অ্যাসিড কি পরিমাণে ব্যবহত হয়, ইহা যাহারা জানেন, কলিকাতার এই সব ভুখানার প্রস্তুত সালফিউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ শনিয়া তাঁহাদের মনে ভাবই আসিবে। এখানে গড়ে এক একটী কারখানায় দৈনিক ১৩হন্দরের (cwts) বেশী অ্যাসিড তৈয়ারী হইত না। সালফিউরিক অ্যাসিড হইতে আর দইটী ধাতব অ্যাসিড— নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক তৈয়ারী হইত। এগুলি মাটীর কলসীতে চোঁয়ানো হইত। এই প্রাথমিক ধরণে অ্যাসিড তৈয়ারীর ব্যাপার দেখিয়া আমার মনে বিরক্তি হইল। এই সব ধাতব অ্যাসিড বিপদজনক পদার্থ বলিয়া জাহাজে আমদানি করিতে খাব বেশী খরচা পড়িত, সেই কারণেই এ দেশে প্রস্তুত অ্যাসিড বিক্রয় করিয়া কিছু লাভ হইত। আমার যে কিছ সালফিউরিক অ্যাসিড দরকার হইত, ডি ওয়ালডির নিকট হইতেই তাহা আনাইতম। কিন্তু এই সময় একটী অচিন্তিতপবে ঘটনায় আমার কাষের পরিধি বিস্তৃত হইল। আমার গ্রামবাসী যাদবচন্দ্র মিত্র আলিপরে ফৌজদারী আদালতে মোক্তারী করিতেন । তিনি এই শ্রেণীর একটি সালফিউরিক অ্যাসিডের কুারখানা কিনিয়াছিলেন। আসগর মণ্ডল নামক একব্যক্তি কারখানাটির প্রতিষ্ঠাতা। টালিগঞ্জের প্রায় তিনমাইল দক্ষিণে সোদপর মামক গ্রামে বাঁশবনের মধ্যে এই কারখানা অবস্থিত ছিল। মিত্র আমাকে কারখানা দেখিবার জন্য অনুরোধ করিলেন এবং বলিলেন যে আমার রাসায়নিক জ্ঞানের বারা আমি ইচ্ছা করিলে কারখানাটির উন্নতি সাধন করিতে পারি। আমার সঙ্গো প্রেসিডেন্সি কলেজের झन्क्लुक्ल छन, फौल्क लईजान्न । छन्द्रकृक्ल छाएम्लौग्न ब्रानान्नोनक ऐश्रीनग्नाद्रिर यिनलाग्न