পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ১৮৬৫ সাল হইতে আমার ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজের প্রতি আকর্ষণ জন্মিলেও আমি কিরূপে ব্রাহ্মসমাজ হইতে দূরে দূরে থাকি,তাম, তাঙ্গা অগ্রেই বলিয়াছি। যতদূর মনে হয় তাহাতে দেখিতে পাই, তখন বিবাদপরায়ণ উন্নতিশীল দল অপেক্ষা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আদি,সমাজের দিকেই আমার অধিক আকর্ষণ ছিল। আমার যতদূর স্মরণ হয় আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন ( যিনি আদি সমাজের ব্রাহ্ম ও তত্ত্ববোধিনীর সম্পাদক ছিলেন এবং আমার নিকট সর্বদা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের প্রশংসা ও উন্নতিশীল ব্রাহ্মদলের নিন্দা করিতেন) তিনিই এই আকর্ষণের প্রধান কারণ ছিলেন। আমার মাতুল স্বৰ্গীয় দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণও উন্নতিশীল দলের পক্ষে ছিলেন না। তাছাও একটা কারণ হইতে পারে। সেই কারণে উন্নতিশীল দলের কথাবার্ত্ত কাজকর্ম্ম যেন ভাল লাগিতা না । বস্তুতঃ উন্নতিশীল দলের সঙ্গে আমি অধিক সংস্রব রাখিতাম না। তবে পৌত্তলিকতা ও জাতিভেদ ত্যাগ করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছিলাম। ১৮৬৮ সালের প্রারম্ভ অবধি উন্নতিশীল ব্রাহ্মদলের সহিত যোগ কিঞ্চিৎ গাঢ়তার হয়। তাহা এই প্রকারে ঘটে। ১৮৬৮ সালের প্রারম্ভে শুনিলাম মাঘোৎসবের সময় উন্নতিশীল দল আপনাদের উপাসনা-মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন করিবেন এবং তদুপলক্ষে নগর-কীর্ত্তন হইবে। এই সংবাদে আমার মাতুল ৮ দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাহার কাগজে ও কথাবার্ত্তাতে ইহাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন-“এ নেড়ানেড়ী কাণ্ড কেন ?” তদ্ভিন্ন হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয়ও অনেক