পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ WO এই জেলিয়া-পাড়াতে থাকিবার সময় আমাদের পরিবারে দুইটী TBDB DSBBLED DDBDD DDS DDB DBBSBBDBDB রামজয় ন্যায়ালঙ্কারের স্বৰ্গারোহণ। একবার গ্রীষ্মের ছুটীতে বাড়ীতে গেলাম। যাইবার সনয় কলিকাতা হইতে হাটিয়া বাড়ীতে যাই । প্রথমদিন চাঙ্গড়িপোতায় মামার বাড়ীতে গিয়া একরাত্রি যাপন করিলাম, পরদিন প্রত্যুষে পদব্রজে যাত্রা করিয়া বাড়ীতে গেলাম। বার বৎসরের বালকের পক্ষে ১৮ মাইল পথ হাটিয়া যাওয়া বড় সহজ কথা নহে। আমি তো গলদুঘন্ম হইয়া বাড়ীতে গিয়া উপস্থিত। উন্মাদিনীকে আমি এমনি ভালবাসিতাম। যে বাড়ীতে গিয়া যখন দেখিলাম উন্মাদিনী ঘরে নাই, তখন যেন সব শূন্য দেখিলাম। মাকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিলেন সে বাহিরে আমের বাগানে গিয়াছে। তৎক্ষণাৎ সেই দিকে দৌড়। মা চীৎকার করিতে লাগিলেন, “ওরে বোস, ওরে দাড়া, তাকে ডাকচি,” কেবা তাহা শোনে। আমি একেবারে গিয়া উন্মাদিনীকে বুকে তুলিয়া ঘরে আনিয়া। তবে নিঃশ্বাস ফেলিলাম। এই উন্মাদিনীই সেই গ্রীষ্মকালে মারা পড়িল। বাবা একদিন তাহাকে সঙ্গে করিয়া জমিদারবাবুদের বাগানে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার প্রিয়নাথ রায়চৌধুরীর সহিত দেখা করিতে গেলেন। তিনি উন্মদিনীকে আদর করিয়া লীচু খাওয়াইলেন। উন্মাদিনী আনন্দিত অন্তরে হাসিতে হাসিতে বাবার সঙ্গে ঘরে ফিরিয়া আসিল। আসিয়াই তাহার দারুণ কলেরা রোগ দেখা দিল। একবার ভেদ একবার বমি হইয়াই যেন চুপসিয়া গেল। তার বমিতে আন্ত আন্ত লীচু উঠিল। সে কথা এইজন্য বলিতেছি যে তাহার মৃত্যুতে এত আঘাত পাইয়াছিলাম, যে তদবধি আজ পর্য্যন্ত এই দীর্ঘকাল ভাল৷ ” মনে লীচু খাইতে পারি নাই। লীচু খাইতে গেলেই উন্মদিনীর কথা মনে হয়। প্রাতে ৯টার সময় পীড়া জন্মিয় অপরাহু ৩টার মধ্যে