পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশ, সন্তান যদি না থাকে, তবে সে গ্যহে থাকাও যাহা, আর হিমালয়ের শঙ্গে কোনো গিরিকন্দিরে থাকাও তাহা। চাকরানী আসিতেছে। যাইতেছে, আদেশ শনিতেছে ও তাহা পালন করিতেছে, ফিরিওয়ালা জিনিসপত্র দিয়া যাইতেছে, জল স্রোতের ন্যায়। কায্যের মোত চলিতেছে, অথচ গহে সাড়া নাই শব্দ নাই। চাকর-চাকরানী যে ঘরে থাকে, সে ঘরে প্রত্যেক ঘরের নম্পবর অনসারে নম্বরওয়ালা ঘণ্টা আছে, তাহার সঙ্গে প্রত্যেক ঘরের সঙ্গে তার যোগে যোগ আছে। যদি চাকরানীকে চাও, তবে তোমার ঘরে বসিয়া কল নাড়া দেও, এক মিনিটের মধ্যে চাকরানী আসিয়া উপস্থিত, তোমার দাবারে টোকা দিতেছে; তাহাকে ঘরে আসিতে বল, তবে তোমার ঘরে প্রবেশ করিবে: তুমি আদেশ কর, অবিলম্বে তদনসারে কায করিবে। এমন সবরে তোমাকে কথা কহিতে হইবে, যেন অপর ঘরের লোক শনিতে না পায়। তুমি একটি রাস্তার ধারের DBDDBDB BDS DBB DBDB BDBDB DDBBS BB DBBD DDD DDB BB DDS কেবল মাস-মস জ্যতার শব্দ শোনা যাইতেছে। কিন্তু একবার যদি উঠিয়া জানালার কাছে দাঁড়াও, বোধ হইবে যেন রাস্তাতে টপীর বন্যা আসিয়াছে, এত লোক যাইতেছে! দোকানে কাপড় কিনিতে যাও, যেই দাবারটি ঠেলিবে অমনি কোথা হইতে টং করিয়া একটি ঘণটা বাজিবে ; প্রবেশ করিবামাত্র একজন লোক উপস্থিত। আসোতআস্তে ধীরে-ধীরে যাহা প্রয়োজন তাহাকে বল, অবিলম্বে তাহা পাইবে ; দীর নাই, দস্তুর নাই, পাঁচ মিনিটের মধ্যে কাজ সমাধা। যেমন নিস্তবধ ভাবে কাজ করিবার রীতি, তেমনি সময় বাঁচানো। এই গণেই ইংরাজগণ কাজ করিবার এত সময় পান। বলিতে কি, ছয়মাস ইংলন্ডে বাস করিয়া আমার চুপে-চুপে কথা কহার এরপ অভ্যাস হইয়া গিয়াছিল যে, সবদেশে ফিরিয়া বঙ্গ দেশের সবরের মাত্রাতে উঠিতে অনেক দিন গেল। ঐ সময়ের মধ্যে যাঁহারা আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেন, তাঁহাদের অনেকে জিজ্ঞাসা করিতেন, আমার অসংখ করিয়াছে কি না, নতুবা এত চুপে-চুপে কথা কহিতেছি কেন ? আমি ইংরাজ জাতির এই নিজািনবাস ও নিস্তব্ধতার বিশেষ ইলটফল দেখিয়াছি। প্রত্যেক ভদ্র ইংরাজের গহে একটি ঘর থাকে, যাহাকে ড্রয়িংরম বা বৈঠকখানা বলে। সে ঘরে কেহ শয়ন করে না, তাহা কেবল বন্ধ-বান্ধব অতিথি-অভ্যাগতগণের সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ করিবার ঘর। বাড়ির লোকে সায়াহিক আহারের পর সেখানে বসিয়াই বিশ্রাম ও গলপগাছা করেন, লোকে দেখা সাক্ষাৎ করিতে আসিলে সেই ঘরেই দেখা সাক্ষাৎ হইয়া থাকে। কিন্তু গহস্বামীর যে একটি স্বতন্ত্র ঘর থাকে, সেখানে তিনি যখন বাস করেন, তখন সে ঘরে কেহ যায় না। সে ঘরটিকে তাঁহার সটাডি বা পাঠাগার বলা হয়। তিনি সেখানে বসিয়া পাঠ ও চিন্তা করিয়া থাকেন। ইহাতেই ইংরাজগণ বড়-বড় কাজ করিতে পারিতেছেন। তাঁহাদের অধিকাংশ কাজ নিজন বাস ও আত্মচিন্তার ফল । একদিকে নিজনে পাঠ ও চিন্তা, অপর দিকে সজনে কাব্য দক্ষতা ও আবশ্যক হইলে বস্তৃতা। ইংরাজগণ সজনে কাজ কমে কিরােপ গারতের শ্রম করেন, তাহা দেখিলে আশচযান্বিত হইতে হয়। তখন এরপ মন প্রাণ দিয়া কার্য করেন যে, দেখিলে মনে হয় যে তাঁহাদের অন্য কম বঝি নাই। সখভোগের রূপহা। অথচ ধাম এবং সত্যানরোগ। পঞ্চম বিরদ্ধে গণের সমাবেশ, সামাজিকতা ও ধর্মভাব। আমি যখন সেখানে ছিলাম, দেখিতাম পর্বাহ বা ছটির SSS