পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bY8ʻ- tW» ] জানোয়ার পোষা, পীপড়া পোষা NG একজনের হাতে করতাল, মুলশায়েনের হাতে চামর দিয়া, আমরা নূপুর পায়ে দিয়া দোয়ার হইলাম। সন্ধ্যার সময় বাড়ীতে বাড়ীতে গান গাইয়া বেড়াইতে লাগিলাম। সে গানের মাথা মুণ্ডু ভাব অর্থ কিছুই থাকিত না।” পাড়ার একজন কৌতুকপ্রিয় লোক হাসাইবার মত কতকগুলো ছাড়া বাধিয়া আমাদিগকে শিখাইয়া দিলেন, তাহাই আমরা বাড়ীতে বাউীতে মেয়েদিগকে শুনাইয়া বেড়াইতে লাগিলাম। মেয়েরা হো হো করিয়া হাসিয়া কে কার গায়ে পড়িয়া যাইতে লাগিলেন । তাহাতেই আমরা পরমানন্দিত হইয়া আপনাদের শ্রম সার্থক বোধ করিতে লাগিলাম । জানোয়ার পোষা,পাপড়া পোষা -আমি তখন পশুপক্ষী পুষিতে বড় ভালবাসিতাম। পুষি নাই এমন জন্তুই নাই। টুনটুনি, বুলবুলি, দয়েল, ছাতারে, শালিক, টিয়া, ওসকল তো পুষিয়াছি, পীপাড়াও পুষিতাম। ফড়িং ও পীপড়া পোষা? আমার একটা বাতিক ছিল। তাহাদিগকে অতি যত্নে কোটার মধ্যে রাখিতাম। ফড়িংদিগকে কচি কচি দূর্ব্বার ঘাস খাওয়াই তাম, পীপাড়াদিগকে চিনি মধু প্রভৃতি খাইতে দিতাম। পীপড়ার গতিবিধি লক্ষ্য করিতে এতই ভাল লাগিত যে, আমি যখন ৬৭ বৎসরের ছেলে তখনও পীপাড়া হইয়া চারি হাত পায় পীপড়াদের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিতাম। মাছি মারিয়া খ্যাংরা কাঠির অগ্রভাগ ভুঙ্গিয়া সেই কঁাটা দ্বারা সেই মাছি দাম্বার মাটিতে পুতিয়া দিতাম ; দিয়া কখন পীপড়া আসিয়া মাছি ধরিয়া টানাটানি করিবে সেই অপেক্ষায় বসিয়া থাকিতাম। হয়তো আধা ঘণ্টার পর সেখানে একটী পীপড়া দেখা দিল। সে প্রথমে আসিয়া মাছিটির পা ধরিয়া টানাটানি আরম্ভ করিল। যখন দেখিল সহজে টানিয়া লইতে পারে না, তখন চারিদিক প্রদক্ষিণ । করিয়া পরীক্ষা আরম্ভ করিল। আমার খ্যাংরা কাঠিটার উপরে একবার উঠে, একবার নামে, বড়ই ব্যস্ত। অবশেষে সে চলিয়া গেল। আমি