পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত কলেজে ইংরাজী শিক্ষা প্রবর্ত্তিত করিয়াছলেন ; তিনি আমার বাবাকে, আমাকে হেয়ার স্কুলে না দিয়া সংস্কৃত চাঁপাতলায় মাতুলের প্রথম বাসা “মহাপ্রভুর বাড়ী” - আমার মাতামহ হরচন্দ্র ন্যায়রত্ন মহাশয় সে সময়ে পীড়িত হইয়া স্বীয় গ্রামের বাড়ীতে বাস করিতেছিলেন। আমি কলিকাতায় আসিয়া চাপাতলা সিদ্ধেশ্বরচন্দ্রের লেনের নিকটস্থ “মহাপ্রভুর বাড়ী” নামক এক বাড়ীতে মাতুলের বাসাতে রহিলাম। ঐ বাড়ীর বাহিরে নীচের | তালাতে চৈতন্য ও নিত্যানন্দ দুইজনের কাষ্ঠনির্ম্মিত দুই প্রকাণ্ড মূর্ত্তি ছিল। হরেকৃষ্ণ বাবাজী নামক এক বাবাজী ঐ বাড়ীর মালিক এবং ঐ উভয় মূর্ত্তির সেবক ছিলেন। সেই বাড়ীর এক ঘরে একটী চিত্রকর থাকিতেন, তিনি বাবুদের ছবি আঁকিতেন। তাহার ঘরে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি ছিল। আমি স্কুল হইতে আসিয়া তুর্তাহার ঘরে । অনেকক্ষণ থাকিতুম ; নিমগ্নচিত্তে ছবিগুলি দেখিতাম। আমার ছবি। দেখার নেশা সেই অবধি অন্য পর্যন্ত যায় নাই। আমাকে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট ছবির মধ্যে রাখিয়া দিলে বােধ হয় আহার নিদ্রা ভুলিয়া ঘণ্টার পর - ঘণ্টা থাকিতে পারি। একপার্থে আমার মাতুলগ্রামের আর-কয়েকটি ভদ্রলোক থাকিতেন। . তাহারা আমাকে বড় ভালবাসিতেন। সে পুরুষের বাসা, সমস্ত দিনের কিতেন। এক একটী ভীষণাকৃতি মর্দা; কেহ দেড় কাঁ চাউলের ভাত খায়। কেহ পড়ে, কেহ বা