পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· : ፈb” শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৩য় পরিঃ কিছু কাজ করে, কেহ বা নিষ্কর্ম্ম বসিয়া খায়। আমার বাবা সংস্কৃত দশকুমারচরিত হইতে নাম সংগ্রহ করিয়া তঁহাদের কাহারও নাম “দর্পসার,” কাহারও নাম “দর্পনারায়ণ”, কাহারও নাম “চণ্ডবর্ম্মা” রাখিয়াছিলেন ; সেই নামে তাহাদিগকে ডাকিতেন। তদ্ভিন্ন প্রত্যেকের ভোজনের পাথরের পৃষ্ঠে নরুন দিয়া খুন্দিয়া কে কত কুনিক চাউলের ভাত খায়, তাহাও লিখিয়া দিয়াছিলেন। থালা ঘটী বাটি সর্ব্বদা চুরি যাইত বলিয়া আমার মাতামহ থালা বাটির পাট উঠাইয়া দিয়া প্রত্যেকের জন্য এক-একখানি মেটে পাথর কিনিয়া দিয়াছিলেন। অতিরিক্ত লোক আসিলে শালপাত কিনিয়া দেওয়া হইত। আমি আসিলে আমার একখানি মেটে পাথর আসিল। প্রত্যেককে আপনি আপন পাথর মাজিতে হইত । ܕ ܚܠ মাতুলের বাসায় অভদ্র আলাপ ; “শিবে জেঠা”।--পুরুষ পুরুষের সঙ্গে থাকিলে তাহার্দের আলাপ আমোদ, কথা বার্ত্তাতে । লাজ-সরম থাকে না। বাসার লোক আমাকে দেখিয়াও কিছু সংকোচ করিত না ; অবাধে সকল প্রকার আলাপ করিত। আমার বাবা দেখিতে পাইলে, কখনও কখনও তাহাদিগকে তিরস্কার করিতেন, কখনও কখনও আমাকে তাড়াইয়া দিতেন। বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তিদিগের সহিত নিরন্তর বাস করিয়া ও এই-সকল ০ অভদ্র আলাপ নিরন্তর শুনিয়া আমার মহা অনিষ্ট হইয়াছিল, এখন/তাহা বুঝিতে পারিতেছি; } আমার অকালপক্কতা জন্মিয়াছিল। গ্রামের লোকে তাহার পর হইতে আমায় “শিবে জেঠা” নাম দিয়াছিল। আমি অল্পবয়স্ক বালক হইয়াও কিরূপে বয়োবৃদ্ধদিগের সহিত জেঠাম করিতাম, তাহা স্মরণ করিয়া এখন লজ্জা হয়। তদ্ভিন্ন ঐ পুরুষদিগের মধ্যে কেহ কেহ আমাকে অনেক খারাপ বিষয় শিখাইয়াছিল, যাহার অনিষ্ট ফল পরজীবনেও অনেকদিন * ভোগ করিয়াছি। এই পুরুষদের