পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোমপ্রকাশ” ছাপাখানায় কুসঙ্গ གཤ“ [ لاوا-ووه زلال করিয়া গালি দিতেছে। বারাঙ্গনার মুখে মাতুলের নাম, ইহা যেন আমার । 'অসহ্য বোধ হইতে লাগিল। আমি ‘মামা’কে ধরিয়া আনিবার জন্য বাসার বয়ােজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদিগকে অনেক অনুরোধ করিলাম। কিন্তু র্তাহারা নেশা করিয়া বুদ হইয়া ছিলেন, কেহই আমার কথার প্রতি কর্ণপাত করিলেন না । অবশেষে আমি যেদো নামক এক চাকরকে সঙ্গে করিয়া সুকিয়া স্ত্রীটের সেই গণিকালয়েধ অভিমুখে বাহির হইলাম। গিয়া দেখিলাম, এক গোলপাতার ঘরের স্ত্রীলোকের দাওয়াতে ‘মামা’ বমি করিয়া ভাসাইয়াছে, ও অৰ্দ্ধ-অচেতন অবস্থাতে পড়িয়া রহিয়াছে। আমরা যাইবামাত্র স্ত্রীলোকটী গালাগালি আরম্ভ করিল। আমি বলিলাম, “চাকর, সঙ্গে এনেছি, বমি পরিষ্কার করুচি, ও ওকে তুলে নিয়ে যাচ্চি ; গালাগালি দিও না ।” এই বলিয়া বমি পরিষ্কার করাইয়া, । যেদে চাকরকে ‘মামা’কে তুলিয়া আনিতে বলিয়া, নিজে দ্রুতপদে বাসার অভিমুখে যাত্রা করিলাম ; কারণ, তখন যদিও কলিকাতার পথে ঘাটে বাসাতে মাতাল দেখিতাম, তথাপি মাতালের প্রতি ক্লেমন একটা বিজাতীয় ঘৃণা ও ভয় ছিল, তাহদের কাছে ঘোষিতাম না । বাসাতে আসিয়া তাহদের জন্য অপেক্ষা করিয়া বসিয়া আছি ; অনেকক্ষণ পরে যেদে চাক ও আসিয়া সজোরে দোর নাড়িতে লাগিল। দ্বার খুলিয়া দেখি, “মামা’ সঙ্গে নাই। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে, সে ‘মামা’কে অভদ্র ভাষায় গালাগালি দিয়া একখানা ছোরা আনিয়া দ্বারের নিকট বসিল ; বলিল, “মামা’ আসিলেই তাহাকে কাটিবে। মনে ভাবিলাম, পথে দুজনে মারামারি করিয়াছে। আমি মহাবিপদে পড়িয়া গেলাম। আমি জানিতাম, যেদে চাকর গাজাখোর ; সে যাহা ভয় দেখাইতেছে করিতে পারে। বাসার লোককে ডাকাডাকি করিলাম, কেহই উঠিলেন না, বলিলেন, "মরুক হতভাগার।” আমি নিরুপায় হইয়া বাহিরের দরজার ভিতরের দিকে এক তাল লাগাইলাম। যেদে উঠিয়া আমার হাত