পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R es’es শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ৮ম পরিঃ সোমপ্রকাশের কার্য্যভার প্রধানতঃ আমার উপর পড়িয়া যাওয়াতে সংবাদ- " পত্রাদি পাঠে ও লেখাতে অনেক সময় দেওয়া আবশ্যক হইল। তাহার উপর, মধ্যে মধ্যে বড় মামার তালুক দেখিবার জন্য লবণাঞ্ছাপূর্ণ সুন্দরবনের মধ্যে গিয়া দুই এক দিন বাস করিতে লাগিলাম। ইহার উপরে আমাকে ম্যালেরিয়াতে ধরিল। ঘন ঘন জর হইয়া লিভারে বেদন দাড়াইল । লিভারে ব্রিষ্টার দিয়া, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা করিয়৷ তদুপরি পূর্বোক্ত কার্য্য সমুদয় চালাইতে লাগিলাম। মিউনিসিপ্যালিটি সংস্কারের চেষ্টা।—পূর্ব্বোক্ত বিষয়গুলি ভিন্ন আমাকে আরও কয়েক প্রকার সংগ্রামের মধ্যে পড়িতে হইয়াছিল। প্রথম, আমি সোমপ্রকাশের কার্য্যভার হাতে লইয়াই দেখিতে পাইলাম যে, রাজপুর হরিনাভি প্রভৃতি গ্রামগুলি কয়েক বৎসর পূর্ব হইতে কলিকাতার দক্ষিণ উপনগরবার্ত্তী বেহালা প্রভৃতি গ্রামের সহিত এক মিউনিসিপ্যালিটিতে আবদ্ধ হইয়াছে। তদবধি প্রায় দশ বৎসর কাল হরিনাভি, রাজপুর, চাঙ্গড়িপোতা প্রভৃতি গ্রামের প্রজাগণ রীতিমত মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স দিয়া আসিতেছে, যথাসময়ে ট্যাক্স না দিলে তাহদের ঘটি কাটি নিলাম হইতেছে ; কিন্তু দশ বৎসরের মধ্যে তাহদের অনেক রাস্তাতে এক মুঠ মাটি পড়ে নাই ; এমন কি, এই দীর্ঘ কালে অনেক নরদামা হইতে এক মুঠ মাটি তোলা হয় নাই। অনুসন্ধানে জানিলাম, মিউনিসিপ্যাল কমিটিতে বেহালা ও তৎসন্নিকটবর্ত্তী স্থানের লোক অধিক হওয়াতে, অধিকাংশ টাকা সেই দিকেই ব্যয় হইতেছে। ইহা আমার বড় অন্যায় বোধ হইল। আমি এই অবস্থা ঘুচাইবার জন্য সঙ্কল্প করিয়া সোমপ্রকাশে লেখনী ধারণ করিলাম ; সোমপ্রকাশের বাহিরের পাঠকগণ বিরক্ত হইয়া যাইতে লাগিলেন । কাগজে লিখিয়া সন্তুষ্ট না হইয়া, আমি স্কুল গৃহে গ্রামবাসী দিগকে ডাকিয়া এ বিষয়ে আন্দোলন আরম্ভ করিলাম। বহু জনের স্বাক্ষর করাইয়া কর্তৃপক্ষের নিকট