পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stz१8-१७] ব্রহ্মময়ী ? * Rà স্বাক্ষর করাইয়া, নীচের তলায় গিয়া দুর্গামোহন বাবুর নাকের কাছে কাগজখানা ধরিলাম। দুৰ্গামোহন বাবু ব্রহ্মময়ীর স্বাক্ষরটা দেখিয়া বলিলেন, “ও রাসকেল, এই জন্যে তোমার এত জোর ? তুমি আমার কাছে হেরে বিলেত আপীল করবে ভেবে এসেছিলে ?” অমনি একটা হাসাহসি পড়িয়া গেল। দুৰ্গামোহন বাবু উপরে গিয়া ব্রহ্মময়ীকে বলিলেন, “ওগো তুমি আমাকে না জিজ্ঞেস ক’রে এই হতভাগাদের কোনও কথা কানে নিয়ে না। এই যে শ্রীহস্তে স্বাক্ষর করেছ, এখন আমার টাকা না দিয়ে পার নাই।” ব্রহ্মময়ী বলিলেন, “বেশ ত, ওরা ত ভাল কাজ করতে যাচ্ছেন। মেয়েদের ব্যবহারের মত? একটা লাইব্রেরি হয়, সে ত ভালই।” ব্রহ্মময়ীর আমার প্রতি ভালবাসার একটি নিদর্শন মনে আছে। এক বার আমার টাকার বড় টানাটানি যাইতেছিল । সেই মাসের শেষ দিকে ছেলেরা প্রসন্নময়ীর চুল বাধিবার আয়নাখানা ভাঙ্গিয়া ফেলিল। প্রসন্নময়ী এ কথা আর আমাকে জানাইলেন না। ভাবিলেন মাসের শেষ কয়টা দিন কোনও প্রকারে চালাইবেন, পর মাসের প্রথমে আয়না কেনা হইবে। ইতিমধ্যে এক দিন ব্রহ্মময়ী অপরাহে আমাদের বাড়ীতে বেড়াইতে আসিয়া দেখেন, প্রসন্নময়ী জলের জালার নিকট দাড়াইয়া জলে মুখ দেখিতেছেন ও চুল বাধিতেছেন। ব্রহ্মময়ী দেখিয়া আশ্চর্য্যান্বিত ঈইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও হেমের মা, ও কি ! জলের জালার কাছে কি করছি ?” 端 প্রসন্নময়ী হাসিয়া বলিলেন, “ওগো, আয়নাখানা ছেলেরা ভেঙ্গে ফেলেছে। ওঁর বড় টাকার টানাটানি যাচ্ছে, তাই ওঁকে জানাই নি । মাস গেলে কিনব ভেবে জালার জলে মুখ দেখে চুল বাধাছি।” बश्रीभशैी ( शनिज्ञा )। ७ भl, q ऊ कथन ७ (gनिनि ! প্রসন্নময়ী। দেখুলেন, কেমন একটা নূতন বিষয় দেখলাম।