পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

IR VO V শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১০ম পরিঃ ভৃত্য খোদাইয়ের অদ্ভুত প্রভুভক্তির পরিচয় পাইলাম। খোদাইয়ের স্মৃতি আমার মনে পবিত্র প্রেমের উৎস স্বরূপ হইয়া রহিয়াছে। আমি তাহাকে আমার “মেজবৌ’ নামক উপন্যাসে অমর করিবার চেষ্টা করিয়াছি। ভবানীপুরে হেড মাষ্টারি করিবার সময় খোদাইকে রাখি। তখন হইতে তাহার গুণাবলি দেখিয়া আমার মন তাহার প্রতি আতিশয় অনুরক্ত হয়। আমার প্রতিও তাহার প্রগাঢ় প্রীতি জন্মে। সে আমার হিতৈষী বন্ধু ও পরিবার পরিজনের রক্ষক ছিল । আমি তাহার হাতে টাকা কড়ি ও সংসারের ভার দিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতাম । পীড়া হইয়া কর্ম্ম হইতে অৰ্দ্ধ বেতনে বিদায় লইয়া যখন আসিয়া রোগ শয্যায় পড়িলাম, তখন খোদাইয়ের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে অসাধ্য হইবে এই ভাবিয়া, আমি আনন্দমোহন বসুর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া আমার রোগমুক্তি পর্য্যন্ত অধিক বেতনে তাহাকে তঁাহার বাড়ীতে রাখিয়া দিলাম। মা যখন আমাকে লইয়া স্বতন্ত্র বাসা করিয়া আছেন, তখন এক দিন প্রাতে দেখি, খোদাই আসিয়া উপস্থিত। আমি। কি খোদাই, তুমি যে এলে ? খোদাই। আপনার বেমারি বেড়েছে শুনে আমি আর থাকতে পারলাম না ; কর্ম্ম ছেড়ে এসেছি । আমি । ভাল কর নি। তোমাকে খেতে দেবে কে ? খোদাই। আপনি ভাববেন না, আমি বেতন চাই না। নারায়ণ আপনাকে বাচায়ে তুললে আপনি পরে বেতন হিসাব ক’রে দেবেন। আর আপনি যদি না উঠেন, আমার বেতন থাক । শুনিয়া আমার চক্ষে জল আসিল । আমি কোন ক্রমেই এই সঙ্কল্প হইতে তাহাকে ফিরাইতে পারিলাম না ; সে থাকিযা গেল। তৎপরে মা চলিয়া গেলে আমি আমার পূর্ব বাসায় গেলাম। তখনও ছুটিতে আছি; দিনের পর দিন যায়, দেখি প্রসন্নময়ী আমার