পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rr শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৩শ পরিঃ এক দিন বৈকালে টুণ্ড লা ষ্টেশনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। উপস্থিত হইয়া দেখি, দুই দিক হইতে দুইখানি টেন আসিয়াছে ; লোক উঠা নাম করিতেছে, মহা গোলযোগ । জিনিসপত্র নামাইয়া প্লাটফরমে পাদচারণা করিতে লাগিলাম, এবং ভাবিতে লাগিলাম যে, টেন দুখান চলিয়া গেলে ষ্টেশনের বাবুদের নিকট সেই ব্রাহ্ম বন্ধুটির ঠিকানা জানিয়া লইব । এমন সময়ে এক কৃষ্ণকায় যুবা পুরুষ আসিয়া একেবারে আমার পায়ে লুষ্ঠিত হইয়া পড়িল। “কে মশাই, কে মশাই, উঠুন, উঠন” বলিয়া তুলিয়া দেখি, সে আমাদের সোমপ্রকাশ আপীসের এক পুরাতন বিল সরকার ; তাহাকে কোনও অপরাধের জন্য আমি কর্ম্মচু্যত করিয়াছিলাম। জানিতাম না যে সে এখানে রেলওয়ে লোকো (Locol) আপীসে কর্ম্ম লইয়া আসিয়াছে। আমাকে দেখিয়া সে যেরূপ বিস্মিত হইল, আমিও তদ্রুপ তাহাকে দেখিয়া বিস্মিত হইলাম । সে। মশাই এখানে যে ? আমি । আমি আগ্রা গিয়েছিলাম, অতঃপর লাহোরে যাব। এখানে অমুক বাবু আছেন, তার সঙ্গে দেখা করবার ইচ্ছ। তঁর বাড়ী কোথায় বল ত ? সে ব্যক্তি ( হাসিয়া ) । মশাই, তিনি ত আর আপনাদের ব্রাহ্ম নাই ; তিনি আর এক রকম হ’য়ে গেছেন। আমি। বল কি ? তা ত আমি জানতাম না! সে ব্যক্তি। এখন আমার বাসাতে চলুন, তার সঙ্গে দেখা করতে হয়। পরে করবেন। আমি আপনাদের খেয়ে মানুষ, আমার বাড়ীতে পদার্পণ করতেই হবে। আপনি আমাকে তাড়িয়েছিলেন, সে জন্য আমার ক্ষোভ নাই ; আমি তার উপযুক্ত কাজ করেছিলাম । আমি তখন একটা আশ্রয় পাইলেই বঁচি, সুতরাং তাহার আহবানে তাহার কুটীরে গিয়া প্রবেশ করিলাম। তাহার ভবনে আশ্রয় পাইয়া