পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) শূদ্র ও পঞ্চমার প্রতি ব্যবহার VSF ، “ [` لالانوالا উপস্থিত হইলাম। গিয়া দেখি, তঁাহারা আমাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বাড়ী রাখিয়াছেন । আহারের সময় এক ব্রাহ্মণ পাচক আমাকে ডাকিয়া লইয়া গেল। খাইতে গিয়া দেখি, কেবল আমার আসন, আমার বন্ধু রঙ্গনাথামের আসন নাই। জিজ্ঞাসা করাতে পাচক বলিল, “তিনি অন্যত্র খাইতেছেন।” কি করি, একাই খাইলাম। আহারের পর তিনি আসিলে শুনিলাম, তঁহাকে কোথায় একটা অন্ধকার গোয়াল ঘরে লইয়া খাওয়াইয়াছে ; তিনি শূদ্র, তাই তঁার এই শাস্তি ! শুনিয়া আমার বড় দুঃখ হইল। সমাজের সভ্যেরা বৈকালে আসিলে তাহাদিগকে বলিলাম । আমি । তোমরা কর কি ? মান্দ্রাজে আমি ওঁর বাড়ীতে আহার করি, ওঁর স্ত্রী আমাকে রাধিয়া খাওয়ান, উনি সমাজের সেক্রেটারি, আমার বন্ধু ; ; এখানে ওঁকে খাবার সময় অন্যত্র নিয়ে যাও কেন ? র্তাহারা ( হাসিয়া )। এখানে আমরা কীর্ত্তা, আমাদের বন্দোবস্ত ; আপনি কিছু বলবেন না। বন্ধু রঙ্গনাথমও বলিলেন, “যেমন চলছে চলতে দিন, গোল করবেন না ।” কাজেই আমি মৌনাবলম্বন করিলাম, কিন্তু মনটা বড় প্রসন্ন शिब् न् ইহার পর প্রাতে ও সন্ধ্যাতে আমাদের ভবনে সমাজের লোকের ও স্থানীয় ভদ্রলোকদিগের জনতা হইতে লাগিল। প্রত্যেক সময়েই দেখি, একটি লোক উপস্থিত থাকে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে বিছানাতে বসে না, মাটিতে বসিয়া থাকে। অনুসন্ধানে জানিলাম, সে এক জন সমাজের সভ্য । এরূপে বসিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম। সে ব্যক্তি এক জন “পঞ্চমা’, অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ চারি বর্ণের বহির্ভূত অস্পৃশ্য লোক। সে সমাজের অনুরাগী সভ্য বটে, কিন্তু অপর সভ্যগণের সহিত একাসনে বসিতে সাহস পায় না। ক্রমে তাহার ইতিবৃত্তাদি তাহার মুখে শুনিলাম। Rè