পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধীক্ষমতা ও দুই কত । যথেষ্ট সম্পত্তি রাখিয়া গিয়াছিলেন। তাহার মৃত্যু হইলে বড়, কল্পটি পিতার কাজে গিয়া বসিলেন, এবং পূর্ব্বোক্ত ব্যবসায়ে আরও কোন কোন ব্যবসায় যোগ করিয়া কারবার ফাপাইয়া তুলিলেন। অপরাপর ব্যবসায়ের মধ্যে তঁাহারা যে একটা মহা ব্যবসায় আরম্ভ করিলেন, তাহার কথা বলি। সে জেলাতে অনেক আপেল ফল উৎপন্ন হয়। সে দেশে লোকে আপেল ফলে মদ প্রস্তুত করে, সুতরাং আপেলের ব্যবসা খুব চলে। আমি যে পরিবারটির কথা বলিতেছি, তঁাহারা সকলেই সুরাপানবিদ্বেষী, সুতরাং তঁাহারা মায়ে ঝিয়ে এই পরামর্শ করিলেন যে, আপেল হইতে যদি জেলি প্রস্তুত করিয়া বিক্রয় করা যায়, তবে হাজার হাজার আপেল সুরার ব্যবসা হইতে তুলিয়া লইয়া আহারের কাজে লাগান যাইতে পারে। এই পরিবারের জননী স্বীয় ভ্রাতার সহিত এই পরামর্শ করিয়া উভয়ের অর্থ সাহায্যে একটি জেলি প্রস্তুত করিবার কল খাড়া করিলেন । उठाके হইলেন seeping partner, অর্থাৎ অর্থ দিলেন মাত্র, কাজে বসিলেন না ; ভগিনী হইলেন ম্যানেজিং পাটনার, অর্থাৎ কার্য্যাধ্যক্ষ । এই পরিবারের ছোট কন্যা পূর্ব্ব হইতে ব্রাহ্মসমাজের অনুরাগিণী ছিলেন, এবং আমাদের অনেকের নাম শুনিয়াছিলেন। তিনি আমাকে লণ্ডনে বীর বার পত্র লিখিতে লাগিলেন যে, আমাকে এক বার তঁহাদের গ্রামে ও তঁহাদের বাড়ীতে যাইতেই হইবে। তঁহার পত্রে বার বার দেখিতে লাগিলাম, “এক বার আসিয়া দেখ, তিন জন মেয়ে জীবনকে কিরূপে চালাইতেছে।” এক বার সেই ছোট কন্যা ক্যাথারিন লণ্ডনে আসিয়া আমার সঙ্গে দেখা করিলেন ; এবং আমাকে ষ্ট্রীটে লাইবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। অবশেষে আমি, ইহাদের ভবনে কিছু দিন যাপন করিবার পরে প্রফেসর এফ ডবলিউ নিউম্যানের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আসিব, এই মানসে লণ্ডন হইতে যাত্রা করিলাম ।