পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w8-69. পাখী দেখিতে তন্মনস্কতা NƏR) লাইলেন। নিকটবর্ত্তী এক পুষ্করিণীপ ঘাটে লইয়া অঙ্গুলির অগ্রভাগে করিয়া তার মুখে জল দিতে লাগিলেন। সুখের বিষয় পাখীটি মরিল না। তিনি পথের এক জন লোককে “পাখীট দিয়া গন্তব্য স্থানের অভিমুখে চলিলেন । আমি পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলাম । আর এক বার আমি পথে ঘাইতেছি, আমার সম্মুখে আর এক জন লোক যাইতেছে। আমি দেখিতে পাইলাম, দূরে আমাদের সম্মুখস্থ রাস্তার পার্শ্বে একটি ছাগল বাধা রহিয়াছে। অমনি ঢ়িল ছুড়িবার প্রবৃত্তি আসিল। বলিতে লজ্জা হইতেছে, ভো করিয়া এক ঢ়িল ছুড়িলাম । সে নিরপরাধ প্রাণী চরিতেছিল, আমার ঢ়িল গিয়া বোধ হয় তার মাথায় লাগিল। বুঝিতে পারিলাম না, কেবল মাত্র দেখিলাম, ছাগলটি এক বার ভ্যা করিয়া ডাকিয়া মাটিতে মুখ থুবড়াইয়া থুবড়াইয়া পড়িতে লাগিল। ঐ দেখিয়াই আমি পশ্চাৎ হইতে চম্পট । আর এক পথ ধরিয়া পাড়া ঘুরিয়া কিছু পরে গিয়া দেখি, কয়েক জন লোক জুটিয়াছে, ছাগলটিকে শোয়াইয়া জল ঢালিয়া বাচাইতেছে ; বোধ হইল ছাগলটি মরিবে না। পাখী দেখিতে তন্মানস্কতা ।--তখন আমি যেমন পীপড়ার গতিবিধি লক্ষ্য করিতাম, তেমনি পাখীর গতিবিধি লক্ষ্য করিতেও ভালবাসিতাম। যদি দৈবাৎ উঠানে কোনও পাখী আসিত, তাহা হইলে আমি, মা খুড়ী জেঠী যে কেহ সে সময় কথা কহিতেন, সকলের মুখ চাপিয়া ধরিতাম, “চুপ কর, চুপ কর, পাখী এসেছে”। এক বার পাখী দেখিতে গিয়া হাতীর পায়ের মধ্যে পড়িয়া গেলাম । তখন আমাদের গ্রামে পোলবন্দী ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের হাতী যাইত ; কারণ, রেল বা রাস্ত ঘাট ছিল না। এক বার আমি পাঠশালে বা স্কুলে যাইবার জন্য বাহির হইয়াছি, দপ্তরটি বগলে আছে ; এমন সময় হঠাৎ একটি নূতন রকমের পাখী দেখিলাম, যাহা, পূর্বে কখনও দেখি নাই। সে লেজ তুলিয়া চমৎকার শীস দিতেছে। আমি চিত্রাপিতের ন্যায় দাড়াইয়া