পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sv শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ২য় পারs করিলে আহার হইতে বিরত হইতেন। আমার ক্ষুদ্র হাতের থাবা উঠতেছে উঠতেছে, এক বার হাতে হাতে ঠেকিয়া গেল। আমনি পো শিহরিয়া মাকে ইসরাতে ডাকিতে লাগিলেন, “উ, উ!” অর্থাৎ কে আমাকে ছুইয়া দিল, দেখ। মা আসিয়া দেখেন, পেটুক পুত্রটির হাতে মুখে দৈয়ের দাগ, আর লুকাইবার যো নাই। পো-র কানে চীৎকার করিয়া বলিলেন, “আর উ কি ? ঐ ‘বাবা’ । বড় যে আদর দেও !” শুনিয়া প্রপিতামহ মহাশয় হাসিয়া উঠিলেন ; “হাঃ হাঃ, বেশ করেছে, তবে ওই সব থাক”, বলিয়া আহার ত্যাগ করিলেন। কিন্তু এ বন্দোবস্ত মার সহ্য হইল না। তিনি আমার গলা টিপিয়া থাকৃড়া দিয়া তুলিয়া লইয়া গেলেন ; বলিতে লাগিলেন, “আচ্ছ ত বেরাল তাড়াতে বসিয়েছি, নিজেই বেরাল হয়েছে।” প্রপিতামহের অধর্ম্মের প্রতি বিরাগ।-আমি বাল্য কালে প্রপিতামহদেবের অধর্ম্মের প্রতি যে বিরাগ দেখিয়াছিলাম, তাহা ভুলিবার, নহে। পরিবার মধ্যে আমার পিতা বা মাতা কাহারও কার্য্য ধর্ম্ম বা ত হয় নাই, এরূপ মনে করিলে তিনি নিজের গালে মুখে চড়াইতেন বা মাথা খুঁড়িতেন। ক্রোধ কোন প্রকারেই সম্বরণ করিতে পারিতেন না। আমার কোনও দুষ্টামি তঁহার কর্ণগোচর হইলে মাকে ডাকিয়া আমাকে শাসন করিতে আদেশ করিতেন। পাছে আমি পাড়ার কুসঙ্গে মিশিয়া দুষ্টামি শিখি, বোধ হয়। এই ভয় করিতেন ; কারণ, দেখিতে পাইতাম যে কুকুরটা বাছুরটা তার ঘরের রকের সন্মুখ দিয়া গেলে, ঝাপূসা-ঝাপূসা দেখিয়া, “ওই বাবা বাইরে গেল” বলিয়া মাকে ডাকাডাকি ও মহামারি উপস্থিত করিতেন। এই জন্য আমাকে পা টিপিয়া টিপিয়া বা পিছন দিয়া অনেক সময়ে পলাইতে হইত। - প্রপিতামহের শাস্ত্রজ্ঞান ও সংস্কৃতানুরাগ।—প্রপিতামহদেব এক জন সংস্কৃতজ্ঞ ও সংস্কৃতানুরাগী মানুষ ছিলেন। আমার স্মরণ আছে, -