পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sveu-S “হা-কালা’ 6. সঙ্গে বাস ও অভদ্র আলাণাদি দ্বারা আর একটি অনিষ্ট এই হইয়াছে যে, আমার রীতি নীতি আলাপ সম্ভাষণ প্রভৃতিতে ভদ্রতা ও সৌজন্য সমুচিতরূপে ফুটিতে পায় নাই। লন্ধর আমাকে ভালবাসেন বলিয়া আমার আলাপ সম্ভাষণে সৌজন্যের প্রতি তত দৃষ্টি রাখেন না। কিন্তু আমি সময়ে সময়ে অনুভব করি যে, আমার আলাপ আচরণ ভদ্রতার অনুরূপ নহে। এমন কি, যে নারী জাতির প্রতি আমার এত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা, তঁহাদের প্রতিও সমুচিত সৌজন্য প্রকাশ করি না । এই হরেকৃষ্ণ বাবাজীর বাড়ীতে স্মরণীয় বিষয়ের মধ্যে আর একটি কথা আছে । তখন কলিকাতার অবস্থা এইরূপ ছিল যে, কেহ প্রথমে আসিলে এক বার গুরুতর পীড়াতে পড়িতে হইত। আমিও আসিয়া ২১ মাসের মধ্যে কঠিন জর রোগে আক্রান্ত হইলাম। দেশে আমার মাকে সে সংবাদ দেওয়া হইল না। এই জরের বিষয়ে আমার এই মাত্র স্মরণ আছে যে, আমাকে একখানা ভাঙ্গা রথের চুড়ার উপরে বসাইয়া ভাপুরা দেওয়া হইয়াছিল। সে সময়ে ভাপুরা দিয়া জর ছাড়ান, , ও মাথাব্যথা হইলে জোক লাগান, চিকিৎসার প্রণালী ছিল। “হা-কালা”।--আর একটা ঘটনা বোধ হয়। এই সময়েই ঘটিয়া থাকিবে। আমার বাবা তখন আমাকে ‘হা-কালা” বলিয়া ডাকিতেন। কারণ এই । যখন আমি হঁা করিয়া থাকি,তাম, অর্থাৎ একমনে কিছু কাজ করিতাম, তখন পশ্চাৎ হইতে ডাকিলে শুনিতে পাইতাম না। বাবা অনেক সময় ডাকিয়া ডাকিয়া শেষে রাগিয়া আসিয়া মারিতেন। বাবার বিশ্বাস জন্মিল যে আমি কালা হইয়া যাইতেছি। আর এরূপ বিশ্বাস জন্মিবার কিছু কারণও ছিল ; ছেলে বেলায় মধ্যে মধ্যে আমার কান পাকিত। যাহা হউক, বাবা আমাকে কালা ভাবিয়া চিকিৎসা করাইবার জন্য কলিকাতা মেডিকেল কলেজের আউট-ডোরে লইয়া গেলেন । তখন ডাক্তার গুডিভ চক্রবর্ত্তী আউট-ডোরে বসিতেন। তিনি পরীক্ষা করিবার