পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ŠወዓS শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচবিত [ ১৭শ পবিঃ একদিন উত্তর লণ্ডনে আমার বাসা হইতে কুমারী কলেটের বাড়ী, যাইব বলিয়া বাহির হইয়াছি, পথে একটা লোক একখানা মুদ্রিত কাগজ লইয়া আমার নিকট আসিয়া বলিল, “অমুক জাহাজ সমুদ্রে মগ্ন হইয়াছে, ইহাতে তাহার বিবরণ আছে, আপনি নেবেন ?” আমি বলিলাম, “আমি সংবাদপত্রে ঐ জাহাজ ডোবাব বিবরণ পড়েছি।” তখন সে আপনার দারিদ্র্যের বিববণ দিতে প্রবৃত্ত হইল। বলিল, “আমরা স্ত্রীপুরুষে বড় কষ্টে আছি, আমাদেব দিন চলে না। অনেক দিন অনাহারে যায়, আপনি যদি কিছু সাহায্য করেন, বড় ভাল হয়।” তাহার কথা শুনিয়া আমাৰ বড় দুঃখ হইল, কিছু দান কবিতে ইচ্ছা হইল, কিন্তু তাব মুখে মদেব গন্ধ পাইলাম। তখন তাহাকে বলিলাম, “তোমাকে কিছু সাহায্য কবিতে ইচ্ছা হইতেছে, করিতেও পাবি; কিন্তু তোমাদের জাত বড় মাতাল, তোমাকে যে পয়সা দিব, তাহ হয়তো তোমরা স্ত্রীর হাতে না গিয়া শুড়ির হাতে যাবে। এই জন্য দিতে ইচ্ছা করে না”। সে ব্যক্তি বলিল, “এই রাস্তার অদূবে এক গলিতে আমি থাকি, আপনি আমাব বাড়ীতে আমার স্ত্রীর কাছে চলুন, তাকে জিজ্ঞাসা করিলে সব কথা জানিতে পরিবেন।” আমি পূর্বেই সংবাদপত্রে পড়িয়াছিলাম যে লণ্ডনের ঐ উত্তর-পূর্ব ভাগে অনেক দুষ্টলোকের বাস; সর্বদাই চুরি, ডাকাতি, হত্যা, মারামারি প্রভৃতি হইয়া থাকে ; সময় সময় পথিকদিগকে ভুলইয়া গলির ভিতর লইয়া সর্বস্ব কাড়িয়া লয় এবং চোখে কাপড় বঁধিয়া নানা গলি ঘুরাইয়া আর-এক পথে ছাড়িয়া দেয়। তখন দয়ার আবির্ভাবে সে কথা আমার স্মরণ হইল না । আমি তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলাম। সে আমাকে গলি হইতে গলির ভিতর লইয়া চলিল। অবশেষে আষাকে একটা বাড়ীতে এক ঘরের ভিতর পূরিয়া বলিল, “আমার স্ত্রী ঘরে নাই, এখানে বসুন, আমি তাকে ডেকে আনছি।” এই বলিয়া বাহির হইয়া গেল। আমার তখনও খেয়াল, নাই যে বিপৎসস্কুল স্থানে,