পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ydw بۀ هد-د ব্রাহ্ম-বালক-বোর্ডিং 80tዓ পাইলাম, সেইদিন তথাকার এক ব্রাহ্ম বন্ধুর ভবনে আহারের নিমন্ত্রণ ছিল। আহার করিতে যাইবার সময় সঙ্গের একটী ব্রাহ্ম বন্ধুকে বলিলাম, “আজ আমার নিমন্ত্রণ খেতে উৎসাহ হচ্চে না । কলিকাতার আশ্রমে র্যারা আছেন, তাদের বাজারের পয়সা নাই, আর আমি এখানে নিমন্ত্রণ খেয়ে বেড়াচ্ছি, এ ভাল লাগছে না। কিন্তু কি করি, কথা দিয়েছি, না গেলে নয়।” এই বলিয়া কোন প্রকারে গিয়া আহার করিয়া আসিলাম । সায়ংকালে লাহোর মন্দিরে উপাসনার। কার্য্য আমাকে করিতে হইল । উপাসনান্তে আমি বেদী হইতে নামিয়াছি, এমন সময় একজন আসিয়া আমাকে বলিলেন যে একটী পাঞ্জাবী বড় ঘরেব মেয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবার জন্য মন্দিরের পশ্চাতের ঘরে অপেক্ষা করিতেছেন। আমি গিয়া দেখি, তিনি একজন বড়লোকের পুত্রবধু; তাহার পতি কিছুদিন পূর্ব্ব হইতে ব্রাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছেন। তিনি আমাকে দেখিবামাত্র স্বীয় আসন হইতে উঠিয়া গলবন্ত্রে আমার চরণে প্রণত হইলেন, এবং আমার পায়ে একশত টাকার নোট রাখিয়া বলিলেন, “আপনার স্থাপিত আশ্রমের সাহায্যার্থে দান।” তৎপরদিনই সেই টাকা কার্য্যাধ্যক্ষের নিকট প্রেরণ করিলাম । ব্রাহ্মা-বালক-কোডিং -এই কালের মধ্যে আর-একটা কাজে হাত দেওয়া গিয়াছিল, তাহাতে কৃতকার্য্য হইতে পারা যায় নাই। যে সময়ে আশ্রমের প্রতিষ্ঠা-কার্য্যে ব্যস্ত ছিলাম, সেই সমকালেই সীতানাখ নদী নামে এক ব্রাহ্ম যুবক আমার নিকট ব্রাহ্ম বালকদিগের জন্য একটী বোর্ডিং স্কুল স্থাপনের আবশ্যকতার উল্লেখ করেন। আমি বলি, “তোমায়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হও, আমি পশ্চাতে আছি।” তিনি বলেন, “আপনি যদি সম্পাদক বলিয়া নাম দেন, তাহা হইলে আমরা কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে পারি।” আমি সম্পাদকরূপে নাম দিতে স্বীকৃত হই, এবং ঐ কার্য্যের দায়িত্ব নিজের শিল্পে গ্রহণ করি। সীতানাথের তত্ত্বাবধানে বোর্ডিং স্থাপিত হয়। ক্রমে '