পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ t এই ছয় ভাই নিয়ে আমাদের সংসার। আমারও একটি বড়দিদি ছিলেন, তার নাম সুসারসুন্দরী । এইবার আমার কথা সুরু করি । যেদিন আমার জন্ম হয়, শুনেছি, সেদিন ঘটনাক্রমে বাবা ও জেঠামশায় দুজনেই বাড়ীতে ছিলেন। বাবার তখন খুব প্রসারপ্রতিপত্তি। পূর্বেই বলেছি, ১৮১ টাকা বাৰ্ষিক বেতনে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। কিন্তু তার উপার্জন খুব হ’ত ; শুনেছি, নানা রকমে তিনি বছরে ২/৩ হাজার টাকা রোজগার করতেন। নানা রকমটা গোপনের কিছুই প্রয়োজন নেই। সে সময়ে আর সকলে যেমন ক’রে উপার্জন করতেন, তিনিও তাই করেছিলেন, সদুপায় অসদুপায়ের কোন বিচার করেননি। তবে সে সময়ে আমাদের গ্রামে ধাৰ্মিক ব’লেও তার প্রসিদ্ধি ছিল। কারণ, পূজাপার্বণ, ঠাকুরবাড়ীতে দানধ্যান এসব তিনি খুব করতেন । আমাদের গ্রামে সর্বপ্রধান বিগ্রহ মদনমোহন দেব। রথযাত্রা ও গোষ্ঠবিহারের সময়ে মদনমোহন যখন তঁর মন্দির ছেড়ে একটু দূরে রথে উঠতে যেতেন, তখন আমাদের বাড়ীতে তঁাকে বিশ্রাম করতে হ’ত এবং সে উপলক্ষে পূজা, অৰ্চনা, ব্রাহ্মণভোজন, বৈষ্ণবভোজন এসবই মহাসমারোহে হ’ত । সুতরাং বাবার উপার্জনের কথা কেউ ভাবতেন না, তিনি পরম ধামিক বলেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। আরও একটা কথা গোপন ক’রে কোন লাভ নেই । কলকাতায় তিনি চাকুরী করতেন, এক বা দেড় বছর অন্তর বাড়ীতে আসতেন, উপায়ও কম করতেন না। সুতরাং সেখানে তঁার একজন সেবাদাসী ছিল, তাতে তঁর অনেক খরচা হ’ত । আমি শুনেছি। এবং স্বচক্ষেও দেখেছি, এই রকম সেবাদাসী বা সাধুভাযায় উপপত্নী সে সময়ে অবস্থাপন্ন লোকের যেন একটা গৌরবেরই বিষয় ছিল। কেউ তাতে লজাবোধ করতেন না। সমাজেও তা” নিয়ে কোন কলঙ্ক-রটনা হ’ত না। যাক সে কথা । আমি যেদিন জন্মগ্রহণ করলুম, সেদিন বাবা আর জেঠমহাশয় দুই হাতে পয়সা খরচ করেছিলেন, কাঙ্গালীও যথেষ্ট বিদায় করেছিলেন । ছেলে ভবিষ্যতে কাঙ্গাল হবে, এই কথা ভেবেই বোধ হয় তাদের সেদিন দুঃখী কাঙ্গালীর খবর DBD DDBD BBDDD S SDB LBBOS S DLLB SKKB DBTuDuBDD আমার ভবিষ্যতের শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু, জীবন-পথের একমাত্র পথপ্রদর্শক, পরলোকগত সাধক প্রবর হরিনাথ মজুমদার, যিনি এখন বাঙ্গালীর নিকট কাঙ্গাল হরিনাথ নামে পরিচিত। আরও শুনেছি, সাধক হরিনাথ বাড়ীর সকলকে ব’লে গিয়েছিলেন যে, এ ছেলে যেদিন আঁতুড় থেকে বেরুবে, সেদিন কেউ একে আগে কোলে করতে পারবে না, আমি কোলে করব । তার সে আদেশ কেউ অমান্য করে নি, আঁতুড় থেকে বেরিয়েই প্রথম আমি তারই কোলে স্থান পেয়েছিলুম। আর, সেই দিনই যখন আমাদের গৃহবিপ্র মধুসুদন আচার্য আমার এক প্রকাণ্ডকায় কোষ্ঠী প্রস্তুত ক’রে এনে কাঙ্গাল হরিনাথকে বললেন-কাকা, আমার এ দাদা