পাতা:আত্মবোধ.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

voo আত্মবোধ। তাহাতে কহিতেছেন)। জীব, আত্মার সচিদংশ অর্থাৎ সত্তাত্মক জ্ঞানাংশ এবং বুদ্ধির বৃত্তিৰূপ অভিমান এই দুই পদার্থকে অৰিবেকহেতুক একত্র সংযোগ করত আমি জানি এই বাক্য কহিতে প্রবৃত্ত হয়। ২৪ । ` t আত্মণে বিক্রিয়া নাস্তি বুদ্ধেবোধোনজাতৃিতি। জীবঃ সৰ্বমলংজ্ঞাত্বা জ্ঞাত দ্রষ্টেfত মুহfত।। ২৫ । অপিচ আত্মার বিক্রিয়া নাই ও বুদ্ধির জ্ঞান নাই কিন্তু জীব ঐ উভয়কে মিলিত জানিয় আপনাকে জ্ঞাত ও দ্রষ্ট ভাবিয়া মুগ্ধ হয়। ২৫ । - রজদুসপবদান্মানং জীবোজ্ঞাত্ব ভয়ং'বহেৎ। নাহং জীবঃ পরাত্মেতি জ্ঞানঞ্চেন্নির্ভয়েভবেৎ।। ২৬ ৷ যদি বল জীবের কর্তৃত্ব ভোক্তৃত্বাদি সমুদায় অবিদ্যাকম্পিত হইলে সংসারাদির ভয় কি, অতএব কহিতে. ছেন। ষেপ্রকার অনিবিড় অন্ধকারস্থিত রজুখণ্ডে পুরুষ বিশেষের হঠাৎ সর্প ভ্রম হইলে বিবেচনাদ্ধার যাবৎ তাহার যথার্থ তত্ত্ব অবগম না হয় তাবৎ মানসিক ভয়োদয় হইয়া থাকে। সেই প্রকার অভয়স্বৰূপ আত্মাতে জীবত্ব আরোপিত হইলে সেই জীবই ভয় প্রাপ্ত হয়, পশ্চাৎ সে যখন আমি জীব নহি কিন্তু পরমাত্মা এইৰূপ জ্ঞান করে তখন সেই পরমাত্মতত্ত্ব জ্ঞানহেতুক তাহার কম্পিত জীবত্বের বিনাশ হইলে সুতরাং ভয় থাকে না ! [এবিষয়ে কেহ২ বিতর্ক করেন যে রজুখণ্ডে যে সর্পভ্রান্তি হইয় থাকে সেই সৰ্প অবাস্তবিক বটে, ফলতঃ পুর্ব্বদৃষ্ট সর্পের বাস্তবিকতা না হইলে তাহ রজুখণ্ডে"আরোপিত হইতে পারে না । কারণ যে ব্যক্তি বাস্তধিক সৰ্প কখনই দর্শন করে নাই তাহার কি তাদৃশ ভ্রম হইবার সম্ভাবনা থাকে, কেমন দধিতে