তাহাও প্রকাশ হইয়া পড়িবে! তুমি অব্যাহতি পাইবে এবং আমরা হরিদাসীর অনুসন্ধান করিতে পারিব।’ তিনকড়ি এই প্রস্তাবে সম্মত হইয়া ওকালত নামা সহি করিয়া দিল, সুরেশ ও তাহার সঙ্গী ফিরিয়া অনিয়া আনুপূর্ব্বিক অবস্থা বিবৃত করিয়া এক খানি দরখাস্ত মান্যবর শ্রীযুক্ত বীবী সাহেব বাহাদুরের সমক্ষে পেষ করিল। উক্তসাহেব মহোদয় ঐ দরখাস্ত মঞ্জুর করতঃ পুনর্ব্বিচারের দিন স্থির করলেন এবং ফরিয়াদি অম্বিকাচরণ দত্তের উপর এই মর্ম্মে এক খানি নেটিশ বাহির করিবার হুকুম দিলেন যে, ১০ই ভাদ্র তারিখে ফরিয়াদি তাহার সাক্ষী সহিত উপস্থিত হইবে, ওঐ দিবস তাহার মোকদ্দমা পুনর্ব্বিচার হইবে। নোটিশ প্যায়দার জিম্বা হইল, সে বহু অনুসন্ধান করিয়া, ফরিয়াদী ও সাক্ষী কে, কোথায় থাকে, কিছু মাত্র ঠিকানা করিতে পারল না। সুতরাং ধার্য্য দিবসে মোকদ্দমার বিচার। হইল না।
পুনরার ২৭শে ভাদ্র তারিখে বিচারের দিন ধার্য্য করিয়া সহরের ভিতর স্থানে স্থানে নোটিশ লটকাইয়া দেওয়া হইল; চার দিকে অম্বিকাচরণের গোচরার্থে সংবাদ প্রকাশ করা হইল। কিন্তু নির্দ্দিষ্ট দিনে অম্বিকাচরণ অথবা তাহাদের সাক্ষীগণ কেহই উপস্থিত হইলনা। পাঠক! এ নামে কেহ আছে কিনা? অথবা