পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS আদশ হিন্দী-হোটেল খানিকটা হালয়া। বড় পেয়ালার এক পেয়ালা চা। অতসী এটাকু জানে যে টেপির বাবা তাহার বাবার মত অলপ-ভোজী প্রাণী নয়, খাইতে পারে এবং খাইতে ভালবাসে। অবস্থাও উহাদের যে খব ভাল, তাহাও নয়। সতরাং টেপির বাবাকে ভাল করিয়াই খাওয়াইতে হইবে। হরিচরণবােব বলিলেন-তোমার হাজারি-কাকাকে প্রণাম করেছ অতসী! হাজারি ব্যস্ত ও সঙ্কুচিত হইয়া পড়িল। অতসী তাহার পায়ের ধলা লইয়া প্রণাম করিতে সে চিড়িাভাজা চিবাইতে চিবাইতে কি বলিল ভালো বোঝা গেল না। অতসী, কিন্তু চলিয়া গেল না, সে হাজারির সামনে কিছু দরে দাঁড়াইয়া তাহাকে ভাল করিয়া দেখিতেছিল। টোপি গলপ করিয়াছে তাহার বাবা একজন পাকা রধিনি, অতসীর কৌতমহলের ইহাই প্রধান কারণ। হরিচরণবাব বললেন-এখন ক'দিন বাড়ীতে আছ ? --আজ্ঞে, পরশ যাবো। পরের চাকরী, থাকলে তো চলে না। --তোমার সেই হোটেল খোলার কি হোল ? -এখনও কিছ করতে পারি নি। বাবা। টাকার যোগাড় না করতে পারলে তো-বাঝাতেই পারছেন --তা হোলে ইচ্ছা আছে এখনও ? --ইচ্ছে আছে খব। শীতকালের মধ্যে যা হয় করে ফেলবো। অতসী বলিল-কাকা গান শানবেন ?-হরিচরণবােব ব্যস্ত হইয়া বলিলেন-হাঁ হাঁ-আমি ভুলে গিয়েছি। একদম। শোন না হাজারি, অনেক নতুন রেকর্ড আনিয়েছি। নিয়ে এসো তো অতসী-শনিয়ে দাও তোমার হাজারি-কাকাকে। হাজারি ভাবিল, বেশ আছে। ইহারা। তাহার মত খাটিয়া খাইতে হয়। না, শধ গান আর খাওয়া-দাওয়া। সন্ধ্যা হইয়াছে, এ সময় উননে আঁচ দিয়া ধোঁয়ার মধ্যে ছোট্ট রান্নাঘরে বসিয়া মনিব-গহিণীর ফাঁদ মত তরকারী কুটিতেছে সে অন্য অন্য দিন। বারোমাসই তাহার এই কাজ। ঘরের মধ্যে আনন্দ হয়। আর আনন্দ হইতেছে আজ, এমন চমৎকার সাজানো বৈঠক