পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাদশ छिन्न-शाल $ ኴሃቑ তারাচাঁদ চক্কত্তির বড় ছেলে। লেখাপড়া তেমন শেখেন নি, বললেন রাণাঘাটে গিয়ে হোটেল করব, পদ্ম কিছ টাকা দিতে পাের ? দিলাম টাকা। সে আজ হয়ে গেল হাজারি ঠাকুরের মনে কৌতহল জাগিলেও সে দেখিল আর অন্য কোনো প্রশন পন্মিদিদিকে না-করাই ভাল। গ্রামে এত লোক থাকিতে তারাচাঁদ চক্কত্তির বড় ছেলে তাহার কাছেই টাকা চাহিল কেন, সেই বা টাকা দিল কেন, রাণাঘাটে বেচুর হোটেলে তাহার ঝি-গিরি করা নিতান্ত দৈবাধীন যোগাযোগ না পাব হইতেই অবলম্বিত ব্যবস্থার ফল-এ সব কথা হাজাবি জিজ্ঞাসা করিলে তাহাকে দোষ দেওয়া যাইত না। কিন্তু হাজারির বয়স হইয়াছে, জীবনে তাহার অভিজ্ঞতা হইয়াছে কম নয়, সে এ-বিষয়ে কোনো প্রশন না করিয়া বলিল-হ্যান্ডনোটগলো। তুলে রেখে দাও পদ্মদিদি ভাল করে। সব ঠিক হয়ে যাবে, টকাও তোমার হয়ে যাবে-এগালো রেখে দাও। পদ্ম কি রকম এক ধরনের হাসি হাসিয়া বলিল-ও সব তুলে রেখে কি করব ঠাকুর ? ও সব কোন কালে তােমাদি হয়ে ভূত হয়ে গিয়েছে। পড়ে দেখা না ঠাকুর হাজারি অপ্রতিভ হইয়া শােধ বলিল-ও ! —যা ছিল কিছু নেই। ঠাকুর, সব হোটেলের পেছনে দিয়েছি-আর কি আছে এখন হাতে, ছাই বলতে চাইও না। শেষের কথাগালি পর্ম্মাঝি যেন আপন মনেই বলিল, বিশেষ কাহাকেও উদ্দেশ করিয়া নহে। হাজারি অত্যন্ত দঃখিত হইল। পর্ম্মাঝির এমন অবস্থা সে কখনও দেখে নাই-ভিতরের কথা সে জানিত না, মিছামিছি কত রাগ, করিয়াছে পদ্মদিদির উপর ! আরও কিছশক্ষণ বসিয়া হাজারি চলিয়া আসিল, সে কিছুই যখন করিতে পরিবে না। আপাততঃ-তখন অপরের দঃখের কাহিনী শনিয়া লাভ কি ? বাসায় ফিরিতেই সে এমন একটি দশ্য দেখিল যাহাতে সে একটি অদ্ভুত ধরনের আনন্দ ও তৃপিতি অন্যভব করিল।