পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to R আদশ হিন্দী-হোটেল পদ্ম ঝি তাহা হইলে খাঁশি হইবে না। সে যে কি বিষ-চক্ষে পড়িয়াছে পলম ঝিয়ের। উহাকে জব্দ করিবার কোনো ফাঁকই পদ্ম ছাড়ে না। ভীষণ আগানের তাতের মধ্যে বসিয়া রতন ঠাকুরের সঙ্গে দৈনিক রান্না কযেতেই প্রায় ন’টা বাজিয়া গেল। পদ্ম ঝি তাহার পর ভীষণ তাগাদা লাগাইল। লাচি ভাজাতে হাত দিবার জন্য। পদ্ম নিজে খাটিতে রাজি নয়, সে গেল খরিদ্দারদের খাওয়ার হ্রদ্ধারক করিতে। আজ আবার হাটবার, বহন ব্যাপারী খারিন্দার। রতন ঠাকুর "তাঁহাদের পরিবেশন করিতে লাগিল। হাজারি এক ছিলিম তামাক খাইয়া লইয়াই আবার আগানের তাতে বসিয়া cशब्ल ब्जी छाछाऊ। আধঘণ্টা পরে-তখন পাঁচ সেরা ময়দাও ভাজা হয় নাই-পদ্ম আসিয়া বলিল-ও ঠাকুর, লাচি হয়েচে ? ওদের লোক এসেচে। নিতে। হাজারি বলিল-না, এখনো হয়নি পদ্মদিদি। একটা ঘরে আসতে বল। -ঘরে আসতে বললে চলবে কেন ? সাড়ে ন’টার মধ্যে ওদের খাবার তৈরী করে রাখতে হবে বলে গেছে। তোমায় বলিনি সেকথা ? --বল্লে কি হবে পদ্মদিদি ? মন্তরে ভাজা হবে আধা মণি ময়দা ?” নটর সময় তো উননে ব্রহ্মার নেচি ফেলেচি-জিগ্যেস করো মতিকে। -সে সব আমি জানিনে। যদি ওরা অর্ডার ফেরৎ দেয়, বােঝাপড়া করো কতার সঙ্গে, তোমার মাইনে থেকে আধা মণ ময়দা আর দশ সেরা ঘির দাম একমাসে তো উঠবে না, তিন মাসে ওঠাতে হবে। হাজারি দেখিল, কথা কাটাকাটি করিয়া লাভ নাই। সে নীরবে লাচি। ভাজিয়া যাইতে লাগিল। হাজারি ফাঁকি দেওয়া অভ্যাস করে নাই-কাজ করিতে বসিয়া শােধ ভাবে কাজ করিয়া যাওয়াই তাহার নিয়ম-কেউ দেখক বা নাই দেখক। লাচি ঘিয়ে ডুবাইয়া তাড়াতাড়ি তুলিয়া ফেলিলে শীঘ্র শীয় কাজ চুকিয়া যায় বটে, কিন্তু তাহাতে লাচি। কাঁচা থাকিয়া যাইবে। এজন্য সে ধীরে ধীরে সময় লইয়া লাচি। তুলিতে লাগিল। পদ্ম ঝি একবার বলিল --অত দেরি করে খোলা নামােচ্ছ কেন ঠাকুর ? হাত চালাও না—স্তু লাচি ডুবিয়ে রাখলে কড়া হয়ে যাবে