পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

off আদশ হিঙ্গ-হোষ্টেল হাজারি নিজেকে সামলাইয়া লইয়াছে ততক্ষণ। নীচু হওয়াই তাহার অভ্যাস-যাহারা বড়, তাহাদের কাছে আজীবন সে ছোট হুইয়াই আসিতেছেআজ চড়া গলায় তাহদের সঙ্গে কথা কহিবার সাহস তাহার আসিবে কোথা হইতে ? k. সে নরম সরে বলিল-না না। রাগ করচো কোন পদ্ম দিদি-আমি এমনিই বলচি, বাসন নিতে যখন তুমি দ্যাখোনি-তখন আমি গরীব বামন, তোমাদের দোরে দটাে করে খাই-কেন আর আমাকে এইবার বেচু চক্কত্তি কথা বলিলেন। একটি নরম সরে বলিলেন-যাক, যাক, কথা কাটাকাটি করে লাভ নেই। আমার বাসন তাতে ফিরবে না। দ’জনেই থামো। তারপর তুমি বলচা কি এখন হাজারুি ? --বলচি, কতা, আমায়। যেমন পায়ে রেখেছিলেন, তেমনি পায়ে রােখন। নইলে না খেয়ে মারা যাবো। বাবা, চোর। আমি নই, চোর যদি হতাম, আপনার সামনে এসে দাঁড়াতে পারতাম না। আর । পদ্ম ঝি বলিল-চোর। কিনা সে কথায় দরকার নেই-কিন্তু তোমার এখানে জায়গা আর হবে না। তাহলে খদের চলে যাবে। বেচু বলিলেন-তা ঠিক।-খন্দের চলে গেলে হোটেল চালাবো কি করে আমি ? হাজারি এ ব্যক্তির অর্থ বঝিতে পারিল না। হোটেলের ঠাকুর চোর হইলে সে না হয় হোটেলের জিনিস চুরি করিতে পারে, কিন্তু খারিন্দারদের গায়ের শাল খালিয়া বা তাহদের পকেট মারিয়া লইতেছে না তো।--তবে খরিদদারের আসিতে আপত্তি কি ? কিন্তু হাজারি এ প্রশন উঠাইতে পারিল না। তাহার জবাব হইয়া গেল। সে কিছু খাইয়াছে কি না। এ কথাও কেহ জিজ্ঞাসা করিল না। অবশেষে সে বলিল-তা হলে আমার মাইনেটা দিয়ে দিন বাবা, দােমাসের তো বাকী পড়ে রয়েচে, হাওলাত নাই কিছল। খাতা দেখান। বেচু চক্কত্তি বলিলেন-সে। এখন হবে না, এর পরে এসো।