এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম গর্তাঙ্ক।] আদিশূর কীর্তন। [বিকট হাস্যসহকারে] হাঃ-হাঃ হাঃ! ভুল করলে রাজা! মনে করলে বুঝি কি একটা উৎকট দণ্ডবিধানই করলাম! তুমি জান না রাজা! আমার প্রাণের মধ্যে যে আগুন জ্বলছে, তার কাছে নরকচিতা স্নিগ্ধ, হলাহল অমরতাদায়ী, তোমার এ কুকুরের দংশন সহস্ৰগুণে শান্তির। চল প্রহরী!

[উন্মত্তের ন্যায় প্রহরীসহ চলিয়া গেল।] আদিশূর। কার সংস্কারক আদিশূর, ধর্মের? না পাপের? বীরসিংহ ও সনাতনকে লইয়া সামন্তসেন প্রবেশ করিলেন। আদিশূর। সামন্ত! এই যে মহারাজ! বীরসিংহ। হাঁ রাজা! আদিশূর। এইবার তোমায় জিজ্ঞাসা করি রাজা—বীরসিংহ। কিছু জিজ্ঞাসা ক’রো না রাজা! উত্তর দেবার আমার ভাষা নাই। শেষ কথা শোন, যা করেছ--করেছ; এইবার দ্বিতীয়বার ঐ রাজা সম্বোধনের পূর্বে যেন আমার শির স্কন্ধচ্যুত হ’য়ে তোমার সভাতলে লুণ্ঠিত হয়। তোমার বাক্য যেন শেল—তোমার নিশ্বাস মেন অগ্নিকুণ্ড— তোমার মুখদর্শন নরক। আদিশূর। বৌদ্ধগুরু! তোমারও কি অভিমত তাই? সনাতন। তাই; শিষ্যের সঙ্গে গুরুর প্রাণ এক সূত্রে গাঁথা। আদিশূর। উত্তম। তবে বুদ্ধকে স্মরণ কর, বক্ষ বিস্তার কর, আলিঙ্গন কর আমার তরবারি। [অস্ত্র উন্মোচন করিলেন।]

তক্ষশীল ব্যাঘ্রের মত কাঁপাইয়া মধ্যস্থলে আসিয়া পড়িলেন। তক্ষশীল। থাম আদি! আদিশূর। কেন গুরু? [ ১৬৭ ]